কালাইয়ে আলোচিত পুলিশি নির্যাতনে নিহত আ"লীগ কর্মীর লাশ দুই মাসপরে কবর থেকে উত্তোলন
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলায় আলোচিত ঘটনা পুলিশি নির্যাতনে নিহত আওয়ামীলীগ কর্মী নিহত সাইদুুর রহমানের লাশ দুই মাস পর কবর থেকে আবারও ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়।
গতকাল সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলনের উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক উজ জামান। জয়পুরহাট সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল, কালাই থানার কর্মরত অফিসার (তদন্ত) ওসি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমুন কুমার রায় সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা যায় গত ৯ অক্টোবর কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে নারী নির্যাতন মামলার আসামী মোঃ মেহেদি হাসান শাপলা কে পুলিশ ধরতে গিয়ে আসামী কে না পেয়ে তার পরিবারের সাথে অনৈতিক আচরণের জরিয়ে পরে পুলিশ। এ সময় প্রতিবেশী সাইদুর রহমান প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসলে পুলিশের নির্যাতনে তিনি আহত হন। পরে পুলিশ হেফাজতে কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কালাই থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে নিহত সাইদুরের পিতা কাজেম উদ্দিন ঘটনার দুই দিন পর ১১ অক্টোবর ২ এসআই ও ২ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহত পরিবার।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন নিহত পরিবার বাদী পক্ষ। আবেদন টি আদালত গ্রহণ করে আদালতের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য নিতহ সাইদুরের লাশ কবর থেকে আবারও তোলা হয়।
অপরদিকে এ হত্যা মামলায় পুলিশের আসামি চার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানা যায়। উক্ত হত্যা মামলার আসামিরা হলেন এসআই রফিক, এসআই আসাদুজ্জামান এবং কনস্টেবল রাশেদুল ও সেলিম রেজা। যাদের গ্রেপ্তার করে আইনি বিচারাধীনে আনতে নিহত পরিবার বাদীপক্ষ বিনীত অনুরোধের মধ্যে প্রতিবাদ জানাই।