আসন ইজতেমা কে সামনে রেখে যনজট নিরশনে কাজ করছে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর ট্রাফিক সহকারীরা
মো.রবিউল ইসলাম টঙ্গী (গাজীপুর)প্রতিনিধি,
আসন ইজতেমাকে সামনে রেখে যানজট নিরশনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর ট্রাফিক সহকারীরা।
উল্ট পথে গাড়ির গতি রোদ, একটি গাড়ি ৫মিনিটের বেশি না দারাতে দেওয়া ও বয়েস্ক মানুষকে পাবলিক গাড়িতে উঠতে সাহাজ করা সবি করছে সহকারী ট্রাফিকরা।
গেল ১৬ডিসেম্বরে গাজীপুর জেলায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জনবান্ধব করতে ৩১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি “ট্রাফিক পুলিশ সহকারী” বাহিনী নিয়োগ দিচ্ছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। এই বাহিনীতে মেজর(অব:) বা তারো উপরের পদমর্যাদার একজন পরিচালকের বেতন মাসিক এক লাখ টাকা ও অন্যদের বেতন মাসিক ১০ হাজার টাকা করে মোট প্রতিমাসে ৩১ লাখ টাকা খরচ করছেন জাহাঙ্গীর আলম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জাহাঙ্গীর আলমের নিজের আইডি সহ ফেইসবুকের বিভিন্ন আইডিতে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ফেইসবুক পেজেও বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নিজস্ব অর্থায়নে গাজীপুর মহানগরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ হতে উত্তরণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য মার্জিত আচরণ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যাক্তিকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদের ছকে পরিচালক চুক্তি ভিত্তিক ০১ জন নিয়োগের কথা বলে যোগ্যতা বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর বা তদূর্ধব যার মাসিক বেতন এক লাখ বা আলোচনা সাপেক্ষে। ছকের তৃতীয় কলামে ট্রাফিক পুলিশ সহকারী পদে ৩০০ জনকে নিয়োগের কথা বলা আছে। এসএসসি বা তদূর্ধব যোগ্যতা উল্লেখ করে মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা বলে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। আর দ্বিতীয় কলামে ১০ জন সুপারভাইজার নিয়োগের কথাও বলা আছে।
এই বিষয়ে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ধরণের কোন বাহিনীর সংবাদ জানিনা। কমিউনিটি পুলিশ আমাদের সাথে থাকবে। আর এই ধরণের বাহিনী নিয়োগ দিলে সরকার লাগবে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের মূখপাত্র (পুলিশ পরিদর্শক) মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের কোন খবর জানা নেই। তার সাথে বসা জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করে মমিনুল ইসলাম বলেন, ওসি সাহেবও এ ধরণের কোন খবর জানেন না। তবে তিনি ফেইসবুকে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গাজীপুরের সাধারণ মানুষ মনে করেন, এই ধরণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভাল। এই রকম সহযোগী বাহিনী গঠিত হলে নাগরিক সেবা বাড়বে।