ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ৪ বিচারপতির বিদ্রোহ
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে কার্যত বিদ্রোহ শুরু করছেন ৪ বিচারপতি। প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে তারা বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়ম ভেঙে নিজের মর্জি অনুযায়ী মামলার বেঞ্চ নির্ধারণ করছেন। তার আদালত পরিচালনার ধরন ভারতের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে।
ভারতের ইতিহাসে উচ্চ আদালতের বিচারকদের এমন পদক্ষেপ নজিরবিহীন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এবার ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালেন সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি। শুক্রবার দিল্লিতে বিচারপতি জাস্তি চেলামেশ্বরের বাসভবনের লনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি মদন লকুর ও বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়ম ভেঙে নিজের মর্জি অনুযায়ী মামলার বেঞ্চ নির্ধারণ করছেন। এছাড়া বিচারপতিদের নিয়োগ থেকে শুরু করে আরো নানা বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন ওই চার বিচারপতি। বিচার বিভাগের ভেতরের দুর্নীতি নিয়েও মুখ খুলেছেন তারা।
বিচারপতি চেলামেশ্বর বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে না পারলে ভারতে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকবে না বলে বিশ্বাস করেন তারা। এখন রাষ্ট্রই ঠিক করবে প্রধান বিচারপতিকে অভিসংশন করা হবে কি না।
সুপ্রিম কোর্টের ওই চার বিচারপতি একটি চিঠিও বিলি করেছেন যেটি তারা এর আগে প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছিলেন। চিঠিতে তারা বেশ কিছু বিচারিক নির্দেশে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। তবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র সেসব সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেননি।
এর আগে উচ্চ আতালতের বিচারকরা কখনোই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি যাতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনায় তাদের নিরপেক্ষতা কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না হয়। ভারতের বিচারবিভাগকে ঘিরে তৈরি এ সংকটের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এদিকে, দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েছে।