মানুষ উন্নয়নের কথা ভুলে যায়, মনে করে দিতে হবে : লিটন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মানুষ উন্নয়নের কথা ভুলে যায়। তারা মনে রাখতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকার ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়নের কথা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে। তাদের মনে করে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার চার বছর পূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন লিটন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে চার বছর পূর্তির কেক কাটের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছাতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। মা-বোনকে বোঝাতে হবে। যাতে তারা ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত না করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, নাইমুল হুদা রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, আসাদুজ্জামান আজাদ, এ্যাড. আসলাম সরকার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, উপ-দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দোলন, উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, সদস্য নফিকুল ইসলাম সেল্টু, আহ্সানুল হক পিন্টু, এনামুল হক কলিন্স, আতিকুর রহমান কালু, মকিদুজ্জামান জুরাত প্রমূখ।
এর আগে বিকেলে খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর বাজারে ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম সাধুর স্মরণসভায় যোগদেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে। আগামীতে মানুষ আর ভুল করবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারে বিজয়ী করে দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সিটি মেয়র লিটন বলেন, ‘সত্য কখনো চাপা থাকে না। মিথ্যা দিয়ে সমগ্র জাতিকে বোকা বানানো যায় না, অন্ধকারে রাখা যায় না। সাময়িকভাবে বোকা বানানো গেলেও তা বেশীদিন টিকে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ চায় না আগুনের সন্ত্রাস। জামায়াত-বিএনপি গাড়িতে আগুন দিয়েছে, তাজা তাজা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এমনকি শতশত গাছ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর। সেই সন্ত্রাস করে লাভ হয়নি। মানুষের সমর্থন পায়নি তারা। তাদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।
জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার ছেলে লিটন বলেন, আগামীতে সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ নিঃসন্দেহে আর ভুল করবে না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে।
ছাত্রলীগ নেতা তৈরির কারখানা উল্লেখ করে লিটন বলেন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আশাপাশ এলাকায় অনেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করেছে। তারা মনে করেছে, তাদের এমন নৃশংসতার ভয়ে আর কেউ ছাত্রলীগ করবে না। কিন্তু তা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা কোথাও না কোথাও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহম্মেদ লেমন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব, পরিবেশ সম্পাদক এখলাসুর রহমান সাদ্দাম, উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রসেনজিৎ কুমার দাস, আপ্যায়ন সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ ইসা, ৩০ নং (দক্ষিন) ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মোহন প্রমুখ। পরে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
১৯৯৬ সালে ১২ জানুয়ারি নগরীর মতিহার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সাধুকে বিনোদপুর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা।