গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জয়পুরহাট জেলা আ'লীগের সাঃসম্পাদক বৃহস্পতিবার আবারও সংবাদ সম্মেলন করবেন
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
গত ১৩ জানুয়ারি জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের প্যাডে লিখিত ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। যুদ্ধাপরাধীর বংশীয় সূত্রধরে পূর্ব পুরুষদের স্বাধীনতা বিরোধীতার অভিযোগ তুলে গত শনিবার ৩ জন নেতাকে জয়পুরহাট জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর কমিটি থেকে ৩ নেতাকে বহিষ্কার করেন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি, জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু (এমপি) ও সাধারন সম্পাদক, আলহাজ্ব, এসএম সোলায়মান আলী সহ জেলা আওয়ামীলীগ এর আরো অন্যতম পদোধারী নেতারা।
উক্ত অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর কমিটি থেকে বহিস্কৃরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের, সাংগঠনিক সম্পাদক, ও কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফিজুউর রহমান মিলন,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান, আব্দুল কুদ্দুস ফকির ও জেলার সদস্য, শওকত হাবিব লজিক চেয়ারম্যান কে জয়পুরহাট জেলা কমিটি থেকে প্রথমে অব্যাহতি প্রদান করা হয় পরে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়।
উক্ত ৩ নেতাকে জেলা কমিটি থেকে বহিস্কারের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে জেলার দুটি গ্রুপের বহিস্কৃত নেতাদের গ্রুপ ৩ নেতাকে বহিস্কারের পরপরি গত রবিবার সর্বপ্রথম কালাই উপজেলায় সেই দিনই রাতে জয়পুরহাট সদরে এবং গত সোমবার আক্কেলপুর উপজেলা ও ক্ষেতলাল উপজেলায় জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি/সাঃসম্পাদক এর পুতলি বানিয়ে তাহা পুড়িয়ে তাদের নামে অসশ্রীল ভাষায় স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ ও ঝাঁড়ু মিছিল করে।উক্ত জেলার সদর সহ চার উপজেলায় আওয়ামীলীগ এর বহিস্কৃত গ্রুপিংয়ের একাংশের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
যাহার জেড়ে জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি,যিনি জয়পুরহাট-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগ এর সাঃসম্পাদক, যিনি সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, তাদের পুতলি পুর্ষন তাদের বিরুদ্ধে অসশ্রীল ভাষায় স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ ও ঝাঁড়ু মিছিল করায় তাদের মানক্ষুর্ণ হওয়ার জন্য।
আগামী বৃহস্পতিবার আবারও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণার সংবাদ পেয়ে (চ্যানেল ফোর টিভি) জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি কে মোবাইল কলে না পেয়ে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সাঃসম্পাদক, আলহাজ্ব এস.এম সোলায়মান আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি (চ্যানেল ফোর টিভি) কে বলেন। তারা আমাদের মানক্ষুণ করেনি তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মানক্ষুণ করেছে যাহা আমি সহ আমার সভাপতি উক্ত তিন দিনে জয়পুরহাটে ঘটে যাওয়া সকল জঘন্য ঘটনাগুলির ছবি ও ভিডিও গুলি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রী যুদ্ধাপরাধী বিরোধী নেত্রী, স্বাধীনতার চেতনার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট সহ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেস করেছি। এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্তের বাহিরে আমরা নয়।
যা আগামী বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সংবাদ সম্মেলনটিতে আমি নিজেই উপস্থাপনা করবো যে সংবাদ সম্মেলনে এমনকিছু গোপনীয়তা উন্মোচন করা হবে যাতে যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়দাতারাও থুমকে যাবে ইনশাআল্লাহ, এমন প্রশ্নের জবাবে সোলায়মান আলীর কাছে গোপনীয়তার বিষয়াদি জানতে চাইলে তিনি তা সংবাদ সম্মেলন ছাড়া প্রকাশ করবেন না বলে জানান। এমনকি তিনি বলেন আগামী বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনেই আপনারা সবি জানতে পারবেন।
এবং তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, কিছু সংবাদ মাধ্যমগুলি একাশং পক্ষ নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে যা সাংবাদিকতার মতো মহৎ একটি পেশার উপর থেকে সাধারন জনগণের বিশ্বাস ও আস্তা উঠে যাবে সাংবাদিক ভাইয়েরা। কেননা আমিও একজন একটি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে বলছি মিথ্যা প্রচার করা ঠিক নয়। আমরা তাদের মতো জঘন্যময় রাজনীতির মতো কি আমরা রাজনীতি করি।
যে মিথ্যা সংবাদ টি প্রকাশ করা হয়েছে যে আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাঁড়ু মিছিলের প্রতিবাদে নাকি আমরাও পাল্টা ঝাঁড়ু মিছিল করবো যা প্রকাশিত তথ্যটি সঠিক নয়। কেননা আমরা তাদের মতো জঘন্যময় যুদ্ধাপরাধীদের আদর্শের রাজনীতি করি না আমরা রাজনীতি করি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের রাজনীতি এমনটাই জানান জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক, আলহাজ্ব এস.এম সোলায়মান আলী।