ভোলায় হিন্দু নারীর উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ!
এম ইউ মাহিম ভোলা।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিনের ইঙ্গিতে, সঞ্জীব বোদ্ধ, লক্ষণ, দেব্রত, হানিফ চকিদারের নেতৃত্বে এক হিন্দু পরিবারের নারীর উপর বর্বরতা হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ ই জানুয়ারী শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ওই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হরিদাস সিকদারের ছেলে কুমত সিকদারের স্ত্রীর উপর এঘটনা ঘটে। এসময় মলিনী রানী সিকদারকে হাত পা বাধাঁ গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা।
মলিনী রানী সিকদার অভিযোগে জানান, আমার স্বামী কুমত সিকদারকে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। সে আর বাড়িতে রাতে থাকেনি। ওই রাতে আমি ঘরে একা ছিলাম ছেলে মেয়েকে নিয়ে। গত শনিবার গভীর রাতে ৭জন বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে আমার মুখ বাধেঁ, তারপর হাত পা বাধেঁ। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। আমি ডাক চিৎকার দিলে আমার আপন বাসুরসহ বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে রক্ষা করে। পরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মলিনী রানী আরো জানায়, পাশ্ববর্তী স্কুল শিক্ষক প্রতাপ মাস্টারকে মিথ্যা ফাসাঁনোর জন্য আমাকে হত্যা করার মুল লক্ষ্য ছিলো। এ ঘটনার আগে আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক লোকজনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ মিলে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা সাজিঁয়ে জেলহাজত খাটিয়েছে প্রতাপ মাষ্টারকে। স্কুল শিক্ষক প্রতাপ মাষ্টার ছিলো নির্দোষ তার কোন দোষ নেই। তিনি আমাকে কোন ধর্ষণও করেনি। শুধু একজন স্কুল শিক্ষককে নিরিহভাবে ২মাস ৩দিন জেল খাটিয়েছে। এ কুচক্র মহল আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতাপ মাষ্টারকে জেল খাটানোর জন্য। এবার তারা আমাকে হত্যা করে প্রতাপ মাষ্টারকে ফাসিয়ে দিবে। আমার এখন কোন নিরাপত্তা নেই। এঘটনার আগে আমি অনেকবার সুষ্ঠ বিচারের জন্য থানায় গিয়াছি কোন বিচার পায়নি। প্রতাপ মাষ্টারের একটাই অন্যায় সে গিয়াস চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেনি কেন?। এখন প্রতাপ মাষ্টারকে আমাকে দিয়ে মিথ্যা ফাসাঁনোর জন্য চেয়ারম্যান আমার উপর অত্যাচার করছে। আমি সুষ্ঠ বিচার সকল প্রশাসনের কাছে। এর আগে আমাকে দিয়ে প্রতাপ মাষ্টারের নামে যে মামলাটি চেয়ারম্যান দায়ের করাইছে তা মিথ্যা বানোয়াট সাজাঁনো ছিলো। প্রতাপ মাষ্টার সে একজন ভালো মানুষ।
মলিনী রানী সিকদার ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড ১নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকাবাসি জানান, মলিনী রানী সিকদারের উপর নির্যাতনের বিষয়টি আমরা শুনছি। এটা অনেক দিন হইতে চলছে। একজন স্কুল মাষ্টারকেও মিথ্যা জেল খাটিয়েছে। এখন ক্ষমতা তাদের আমরা কি বলবো। কিছু বলে আবার কোন বিপদে পরি তা আল্লাহ জানে। যদি প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতারা সু-দৃষ্টি দেন তাহলে এই মহিলা রক্ষা পেতে পারে।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিষয়টি ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার আমলে নিয়েছেন বলেও জানাযায়।
মলিনী রানী সিকদার বাদী হয়ে ১৬ জানুয়ারী ভোলা সদর মডেল থানায় নারী শিশু দমন আইনে ৮জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, লক্ষণ, হানিফ চকিদার, দেব্রত, সতীশ পোজদার, ভাস্কও তেলী, সঞ্জীব বোদ্ধ,, নয়ন সিকদার, নান্টু সিকদার,সেন্টু সিকদারসহ অজ্ঞাত ২/৩জন।