একজন আদর্শবান চৌকস পুলিশ অফিসার এ এস আই মনিরুল।
মোঃমোছাদ্দেক বিল্লাহ (বিষেশ প্রতিবেদক)
কোনো থানায় বা জেলায় যখন অপরাধ দিনদিন বাড়তেই থাকে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি শুরু হয়। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই রাহাজানি, চাঁদাবাজি,মাদক, প্রকাশ্য দিবালোকে শুরু হয়। কোন মতেই প্রশাসন যখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ঠিক তখনই ওই থানায় বা জেলায় দুর্দান্ত সাহসী ও সৎ পুলিশ অফিসার পাঠানো হয়। আর ওই পুলিশ অফিসার তার সৎ সাহসকে পুঁজি করে জনগণের শান্তির জন্য দিনরাত এক করে সকল অন্যায়কে বিতাড়িত করে সন্ত্রাস দমনে সফল হয়। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের পর পদে পদে এগিয়ে আসছে এ এস আই মনিরুল ইসলাম। আইজিপি কাপ কাবাডি চ্যাম্পিয়ানশীপ প্রতিযোগিতা-২০১৭,ম্যান অব টুর্নামেন্ট হিসেবে পুরষ্কার পেলেন। এছারাও বরিশাল বিভাগে পরপর তিনবার শেষ্ট খেলোয়ার র্নিবাচিত হয়ে ডি আই জি এর কাছ থেকে পুস্কার গ্রহন , একাধিক সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার, চিহিৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, মাদক ও বিভিন্ন যানবাহন, লুণ্ঠিত রফতানী পণ্য উদ্ধার, হত্যা ও অপহরণ মামলার রহস্য উন্মোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছেন। বিশেষ করে আমুয়া তালতলা থেকে রাজ্জাক ডাকাত কে আটক করে চমকে দিল জনগন কে। দক্ষতার বর্ণনা স্বাক্ষ্য দিতে পারবে তার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ, সহকর্মী কিংবা যাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে তারা ভালো বলতে পারবেন। তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।পুলিশ জনগনের বন্ধু, মানুষের ক্ষতি না হয়; তিনি এমনটাই আশাবাদী।
এলাকাবাসীরা জানান এ এস আই মনির ভাইকে খুব কাছ থেকে দেখেছি যেমন পরিশ্রমী তেমনী তার ধৈর্য্যশক্তি। তিনি একটি কথাই বলেন, মানুষের প্রতি মায়া নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করলে যে কোনো পুলিশ অফিসারই প্রশংসা পাবেন। তবে শুধু প্রশংসা পাওয়ার জন্য কিছু করা উচিত নয়। প্রশংসা কিংবা তিরস্কার এ দুটিই কাজের মূল্যায়ন। সবচেয়ে বড় তিক্ততা যখন ভালো কোনো উদ্যোগ কিংবা মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে গিয়ে চাপের মুখে পরে করতে না পারা। আর তা শুধু তিক্ততাই নয়, বড় কষ্টেরও বটে। মানুষের জন্য কাজ করা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো কাজ। কোনো অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের এবং ভালো লাগার। আসহায় গরিব মানুষ এসে সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে গেছে এমন উদাহরণ নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে আলামত, তথ্য ওপাত্ত নিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন আসামী ডিটেক্ট ও দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতির অভিযোগ পুরোনো কিছু নয়। পুলিশ জনগনের বন্ধু শ্লোগানে থাকলেও বাস্তবে পুলিশ জনগনের সম্পর্ক ঠিক তেমনটি কি? সামান্য কিছু পুলিশের কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে দোষারোপ করা হয় সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে। আমরা ভুলে যাই এই পুলিশ আমাদেরই কারো বন্ধু কারো ভাই। সারাদিন রাস্তায় রোদ বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থেকেও সাধারণ মানুষকে যেকোনো বিপদে সাহায্য করার আশাটুকু যাদের মন থেকে কখনো সরে যায় না এমন পুলিশ ও আমাদের সমাজে রয়েছে। কিন্তু পুলিশের দোষগুলোই মনে হয় বেশি আলোচনা হয়, গুণগুলো নয়!