১৬৩ রানে হারালো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে
হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে হেসে খেলে হারালো বাংলাদেশ— লঙ্কানদের ১৬৩ রানে হারিয়ে রকেট ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় পেলেন মাশরাফিরা।
সাকিব-তামিম-মুশফিকের ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার সামনে ৩২১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগাররা। জবাবে নাসির, মুস্তাফিজ, মাশরাফি, সাকিবের বোলিংয়ে ১৫৭ রানেই থেমে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।
দাপুটে ব্যাটিং ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ দল। ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভালো খেলা উপহার দিয়েছেন বোলাররাও। দলের কোনো এক সদস্যের ওপর নির্ভর করে নয় বরং টিম বাংলাদেশের পারফরমেন্সে লঙ্কানদের দাপটে হারালেন মাশরাফিরা।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল টাইগারদের আধিপত্য। এনামুলের ব্যাটিং ঝড়ে দারুণ শুরুর পর তিন ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ দল। দ্রুততম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এনামুল। ৩৫ রান করে আউট হন তিনি।
তামিম-সাকিব-মুশফিকের তিন অর্ধশতক লঙ্কান বোলারদের স্বস্তি পেতে দেয়নি এতটুকু। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এগারো হাজারি রানের ক্লাবে নাম লেখান তামিম। আগের দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৪ রানে অপরাজিত থেকে জিতিয়েছিলেন দলকে। টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করে লঙ্কানদের বিপক্ষেও থামেন ওই ৮৪ রানেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে না পারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৬৭ রান করে বিদায় নেন সাকিব।
অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিকও। ৬২ রানে আউট হন তিনি। এছাড়াও ২৪ রান করে যোগ করেন মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বির। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে সংগ্রহের খাতায় ৩২০ রান তোলেন মাশরাফিরা। শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২১ রান।
জবাবে দিতে নেমে টাইগার শিবিরে কোনো আতঙ্কই সৃষ্টি করতে পারেনি লঙ্কানরা। রান তাড়া করার চেয়ে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করাটাই যেন চান্দিমাল বাহিনীর লক্ষ্য ছিল। নাসির ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পর মুস্তাফিজ, মাশরাফি, সাকিবরা লঙ্কানদের বেশীদূর যেতে দেননি।