দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ
জুলহাজুল কবীর :
দীর্ঘ সাড়ে দশ বছর চেয়ারম্যান, মেম্বারের দ্বারে ঘুরে কোন প্রকার সরকারী সুবিধা পাইনাই,আমি কত দিন থেকে বিছানায় পড়ে আছি -আমি আজ আইচি চেয়ারম্যান মাইকিং করে সবাকই ডাকচে, হামরাও আইচি। মোঃ জালাল উদ্দিন(৬৮), বাড়ী কুতুব গ্রাম। কথা হচ্ছিল ৭নং দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায়। তিনি চেয়ারম্যানের ঠিক অফিসের দরজার কাছেই একটি চৌকিতে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন। শুয়ে থাকার কথা জিজ্ঞেস করাতেই তার চোখে পানি ছলছল হয়ে গেল। ভাইরে অনেক দিন থেকে অসুক ডায়াবেটিস। পাওগুলাত ঘাও হচে। হাঁটপা পারোঁনা। এ্যাটে আইচোঁ বৌ মোক ভ্যানত করে নিয়ে আইচে, এবার যদি কার্ড হয়!
ছেলে- মেয়ে ৩ জন, তারা সহ ৫জন।
সরকারী সুযোগ বঞ্চিত জালাল উদ্দিন(৬৮) ১৫/০১/১৮ইং তারিখ রাতে মারা গেছেন বলে জানালেন, ঐ গ্রামের আশিকুল নামে এক দোকানদার। অথচ ১৩/০১/১৮ইং তারিখে তার নামে কার্ড বরাদ্দ পাওয়ার খুব আশা ছিল।