এবছর এক লাখ ২৭১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন: ধর্মমন্ত্রী
এবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।
রোববার সচিবালয়ে ধর্মমন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ধর্মমন্ত্রী।
হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে ধর্মমন্ত্রী জানান, যে কোনো ধরণের অনিয়মে কঠোর সাজা দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা সব কার্যক্রম হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
হজযাত্রীর কোটা বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে –এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও মোট হজযাত্রী শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিডেট এবং শতকরা ৫০ ভাগ সাউদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বহন করবে।
সৌদি সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের উপর এর প্রভাব পড়বে— ভ্যাট হজযাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে চায় সৌদি কর্তৃপক্ষ—এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এ ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকেন।
ভ্যাটে কোথায় কোথায় ছাড় পাওয়া যাবে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি— সেগুলো জানার পর আমরা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবো এজন্য সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে জানান মন্ত্রী।
এ বছর ভারত থেকে ৫-৭ হাজার হজযাত্রী জাহাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন—এ অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার এটা জানার পর জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু সৌদি সরকার তা অনুমোদন করেনি।
তিনি বলেন, এ বছর হজের জন্য মুসল্লিরা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ জন। এটা বাছাই করার পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা রয়েছে। যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর যেসব হজ এজেন্সি অনিয়ম করেছে, যাদের মাধ্যমে হজে গিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরে আসেননি, চুক্তি অনুযায়ী সেবা দেয়নি এবং চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তকাজ শেষ হলেই সেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।