লালমনিরহাটে বাংলাদেশ প্রতিদিন বর্জনের ঘোষণা দিলেন আ’লীগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে এ অভিযোগ তুলে ওই পত্রিকা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ। মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষনা দেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান বলেন, ভারতে মোতাহার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনের নামে কোনো বাড়ী বা জমি নেই। রাজধানী ঢাকার গুলশানে মোতাহার টাওয়ার নামেও কোনো কিছু নেই। যদি কেউ এসবের প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তিনি সেসব সম্পদ ওই ব্যক্তির নামে লিখে দেবেন ও রাজনীতি ছেড়ে দিবেন।
এ সময় ওই সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাদল আশরাফ, অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি ও তার পরিবারকে জড়িয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ২১ জানুয়ারি ‘লালমনিরহাটে মোতাহার স¤্রাজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও কুরুচীপূর্ণ। তাই আমরা বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক পত্রিকাটি বর্জনের ঘোর্ষণা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বলেন, মোতাহার হোসেন ৬৯-এর গণঅভ্যুথান, ৭০-এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচে কমিশন লাভ করেন। তাঁর নেতৃত্বে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ বিগত দিনের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী ও গতিশীল হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন। ২০০১ সালে লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় হুইপ, ২০০৯ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতির দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠার সাথে প্রাথমিক শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন।
মতিয়ার রহমান আরো বলেন, তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর রাজউক কর্তৃক সরকারের দেওয়া ৫ কাঠা জমি পেয়েছেন, এতে এখনও কিছুই করতে পারেননি। তাঁর দ্বিতীয় ছেলে ইফতেখার হাসান মাসুদ তুরস্ক সরকারের বৃত্তি নিয়ে আইসিটি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স শেষ করে দেশে এসে ঢাকায় একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নিজস্ব আয় দিয়ে তিনি একটি ফ্লাটবাড়ী কিস্তিতে ক্রয় করেন। যার টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। এমপি মোতাহার হোসেন পৈতৃক বাড়ীর সাথের জায়গা রুপালী ব্যাংকের বড়খাতা শাখায় মর্টগেজ দিয়ে ঋণ নিয়ে এবং আগাম দোকান বরাদ্দের টাকা নিয়ে একটি চারতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন। যা এখনও শেষ করতে পারেননি। তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল সোনালী ব্যাংকের হাতীবান্ধা শাখা থেকে সিসি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।
আসাদুজ্জামান সাজু,