পেট্রাপোল বন্দরে কারপাস জটিলতারর কারণে বেনাপোল বন্দরে ফের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।। যশোরের বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কারপাস জটিলতার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই পথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক; যার অধিকাংশই বাংলাদেশের শত ভাগ রফতানিমুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য রয়েছে।
আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোডসহ বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম সচল রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী গমনাগমনও স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রফতানি করার জন্য আগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কাস্টমস অফিসারদের মাধ্যমে মেনিফেস্ট তৈরি করার পর কারপাস (গেট পাস) ইস্যু করে পণ্য রফতানি করতেন। হঠাৎ তিনদিন ধরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারি করেন। সেখানে তারা নিজেরাই কারপাস ইস্যু করে রফতানি পণ্য বাংলাদেশে পাঠাবেন বলে জানানো হয়। এ ধরনের নির্দেশনায় পণ্য রফতানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রফতানি পণ্যের কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো কারপাস ইস্যু করতে পারেনি। যে কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কারপাস জটিলতার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পেট্রাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ধর্মঘটে যান। সেসময়ও আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে এই বন্দরে। এছাড়া গত দুইদিন দেশের বৃহত্তম এই বন্দরের হ্যান্ডলিং কাজ নিয়ন্ত্রণে নিতে বাংলাদেশের শাসক দলের এমপি শেখ আফিলউদ্দিন সমর্থকরা বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম সমর্থকদের হটাতে বোমাবাজি, হামলা করে। এর ফলেও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত