নড়াইলে দেড় বছরের শিশুকে রেখে মাকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ নির্যাতিতা সুমাইয়া হাসপাতাল ছেড়ে বাবার বাড়িতে
শরিফুল ইসলাম নড়াইল
পারিবারিক কলহের জের ধরে নড়াইলের নড়াগাতী থানার মহাজন গ্রামে সুমাইয়া আক্তার তুলি (২৪) নামে এক গৃহবধুকে মারধর করে তার দেড় বছরের শিশু কন্যাকে রেখে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই নারী নড়াইল সদর হাপসাতালে সাতদিন চিকিৎসা শেষে শুত্রুবার (২৬ জানুয়ারি) বাবার বাড়ি ঝিনাইদহে চলে গিয়েছেন। এঘটনায় নড়াগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার নড়াগাতী থানার মাউলি ইউনিয়নের মহাজন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে সৌদি প্রবাসী তরিকুল ইসলাম সোহেলের সাথে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শামসুল আলমের কন্যা সুমাইয়া আক্তার তুলির বিয়ে হয় ছয় বছর আগে। বিয়ের পর তাদের সংসারে দেড় বছর আগে একটি কন্যা সন্তান হয়। আদর করে কন্যা সন্তানের নাম রাখেন সোহানী খান।
নির্যাতিতা তুলি জানান, এক বছর আগে তার স্বামী সৌদি আরবে চলে যান। এর আগে বড়দিয়া বাজারে এ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা করতো। স্বামী বাড়ি থেকে সৌদি যাওয়ার পর শাশুড়ি, ভাসুর, জা ও দেবর মিলে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তার স্বামীকেও ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আমার ছোট দেবর নোমান খান বাশ দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। তখন শাশুড়িসহ সবাই মিলে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। আমি দৌড়ে গিয়ে গ্রামের মাতব্বর আলাউদ্দিন মাষ্টারের বাড়িতে উঠি। এর পর ওই শিক্ষককে নিয়ে পুনরায় শ্বশুর বাড়িতে গেলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতে ঠাই না হওয়ায় অসুস্থ্য অবস্থায় মহাজন গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি’’।
এদিকে এ ঘটনায় পরের দিন নড়াগাতী থানায় ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নির্যাতিতা সুমাইয়া আক্তার তুলি (জিডিনং-৮৯, তাং-২৩/০১/১৮)। অসুস্থ্য অবস্থায় ওইদিন রাতে তিনি নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনা যদি সামান্য হয় সেক্ষেত্রে জিডি হতে পারে। সুমাইয়া আক্তারের জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে।