নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ব্যাপক আয় থাকা স্বর্থেও অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬২ ও স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদের স্মরণে নেই কোন শহীদ মিনার। এতে করে পল্লী অঞ্চলের কোমলমতি শিশু ও তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো কোন সুযোগ পাচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৬৫ টি। ১০৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪ টি মাদ্রাসা ও ৬ টি কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে শহীদ মিনার। প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি এলে অনেক এলাকার সচেতন মহলের উদ্যোগে বাঁশ ও কলা গাছ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার বানিয়ে শিশু ও তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা শহিদ দিবস পালন করেন।
অথচ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বহুমুখী আয় থাকা সত্তেও শুধুমাত্র ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকায় শহিদ মিনার নির্মাণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। এলাকার অভিভাবক ও সুধীমহল প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।