পেঁয়াজের নূন্যতম রপ্তানি মূল্য তুলে নিয়েছে ভারত।
হিলি প্রতিনিধি
পেঁয়াজ রপ্তানিতে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আবারো কমালো ভারত। এই ঘোষনার মাধ্যমে পেঁয়াজের নির্ধারিত রপ্তানি মুল্য তুলে নিলো সে দেশের কাঁচা পন্যের মূল্য নির্ধারনি সংস্থা (ন্যাপেড)। এখন থেকে ভারতের মোকামে যে মুল্যে আমদানিকারকেরা পেঁয়াজ কিনবেন সেই মুল্যেই পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত।
এসংক্রান্ত একটি ফ্যক্সবার্তা শুক্রবার রাতে ভারতের হিলি কাষ্টমসে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন জানান, আজ রোববার থেকে নতুন মুল্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। এর ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে ওঠার পাশাপাশি দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ওদিকে নানা অজুহাত দেখিয়ে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিলো ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি কারকেরা। ফলে দাম বেড়ে ওঠে বাংলাদেশের বাজারে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমাদানি কারক নাজমুল হক চৌধুরী জানান, অতিবৃষ্টি, বন্যা, নানা কারণে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয় ভারতে এবং পেঁয়াজ রপ্তানিতে সেদেশের ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করতে গত ২৩ নভেম্বর পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছিলো ভারত। এরপর গত ২০ জানুয়ারি ১৫০ মার্কিণ ডলার কমিয়ে ৭০২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ন্যপেড। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তা ও তুলে নেয়া হলো।
এদিকে, গত সাত দিনে ১ হাজার ৫৮৫ মে:টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।