শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক জেব্রা পরিবারে আবারো নতুন অতিথি
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে রোববার ভোরে দ্বিতীয় বারের মতো আবদ্ধ পরিবেশে জন্ম নিয়েছে আফ্রিকা দেশের প্রাণী জেব্রা। এনিয়ে পার্কের জেব্রার সংখ্যা দাঁড়ালো তেরটিতে।
পার্কের বণ্যপ্রানী পরিদর্শক মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, রোববার ভোরে আফ্রিকার কোর সাফারি পার্কের ভেতর প্রথম বাচ্চাটিকে তাঁর মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপর মা জেব্রা বাচ্চার শরীরে মুখ দিয়ে আদর করছে। নতুন বাচ্চাটি মায়ের চোখের আড়াল হলেই সে পাগল হয়ে খোজাখুজি করছে। নতুন জেব্রা শাবকের আগমনে পার্কে দর্শনার্থীদের আগমন বেড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ঘাস মূলত তাদের প্রধান খাবার, মা জেব্রার পুষ্টি গুণের কথা চিন্তা করে তাঁর খাবারে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঘাসের পাশাপাশি তাদের ছোলা, গাজর, ভুট্টা ও ভূষি দেয়া হচ্ছে। বাচ্চার কথা চিন্তা করে কাছে যেতে না পারায় নতুন বাচ্চাটি পুরুষ না মাদী তা জানা যায়নি।
বণ্যপ্রানী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, নতুন জেব্রা শাবক নিয়ে দর্শনার্থীদের কৌতূহল বেড়ে গেছে। বাচ্চা জন্মের খবর শোনার পর থেকেই পার্কে আগত দর্শনার্থীরা আফ্রিকার কোর সাফারি পার্কে জেব্রার বাচ্চা দেখতে ভিড় করছেন। গতবছর ১৪ই মে অন্য একটি জেব্রা থেকে প্রথম বাচ্চা পাওয়া গিয়েছিল।
তিনি আরো জানান, জেব্রা হলো ইকুইডি পরিবারের আফ্রিকান ক্ষুরযুক্ত চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী প্রাণী। যারা তাদের স্বতন্ত্র সাদা-কালো ডোরার জন্য পরিচিত। জেব্রার ডোরার এই নকশা প্রত্যেকের জন্যে আলাদা। এরা সামাজিক প্রাণী, এরা ছোট-বড় পাল তৈরি করে ঘুরে বেড়ায়। জেব্রা সাধারণত ৮ফুট লম্বা হয়, এদের ওজন ৩০০ কেজি ছাড়িয়ে যায়। ডোরার পাশাপাশি এদের ঘাড়ে কেশর সদৃশ্য খাড়া চুল আছে। তবে ঘোড়া বা গাধার মত দেখতে হলেও এদেরকে পোষ মানানো যায় না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, সাফারী পার্কের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিভিন্ন সময় দক্ষিণ অফ্রিকা থেকে এ পার্কে পাঁচটি পুরুষ এবং ছয়টি মাদী জেব্রা আনা হয় গতবছর একটি, রোববার আরেকটি জন্ম নেয়া বাচ্চাসহ এ নিয়ে পার্কে জেব্রা পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা হলো ১৩টি। পুরুষ বাচ্চারা চার বছরে এবং মাদী বাচ্চারা তিন বছর বয়সেই অনেকটা পূর্র্ণতা লাভ করে। প্রাকৃতিকভাবে ২০বছর এবং সংরক্ষিত পর্যাপ্ত খাবারযুক্ত পরিবেশে তারা ২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।