রায়কে ঘিরে বিশৃঙ্খলায় কোন ছাড় নেই: ফেনী পুলিশ সুপার
এম.রফিকুল ইসলাম: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে ফেনীতে ব্যাপক প্রশাসনিক নিরাপত্তায় মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রধান পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তিনি জানান, শনিবার হতে আজ অবধি পর্যন্ত গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রত্যক্ষ করে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত করে বুঝতে চেয়েছি এই নিরাপত্তা কতটুকু সমপযোগী। এ সময়ে সরকারি, বেসরকারি গুরুত্ববহ স্থাপনা, অফিস-আদালত,রেলওয়েস্টেশন হতে রেললাইন, পল্লীবিদ্যুৎ স্থাপনা, ফ্লাইওভার, বিসিক শিল্প নগরী, গ্যাস ক্ষেত্র, সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প গুলো, বিপনীবিতান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক,ছাত্রাবাস,বাস স্টপেজ, ফেনী শহরের প্রায় সকল গলিপথ, ব্যাংক সমুহের ভবন সমুহসহ ছোটবড় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো। সরকারি বেসরকারি অফিস সমুহ সহ পৌর ও উপজেলা শহর গুলোর ফুটপাত, বাজার হয়ে গ্রামের গলিপথও। তিনি আরো বলেন, উক্ত রায়কে কেন্দ্র করে কোন মিটিং,মিছিল বা অস্বাভাবিক আচরনকে কোন ভাবেই প্রশয় দেয়া হবে না। রায় যাই হোক কোর্টের রায়কে অসম্মসান করে সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বা রাস্তাঘাটে কোন প্রকার জ্বালাও পড়াও কোন ভাবেই সাধারন জীবন যাপনের ব্যাঘাতে সম্মুক্ষীন হতে দেয়া যাবে না। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের জেলা পুলিশ প্রশাসনকে গত কয়েকদিনই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে চেক পোষ্টের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল স্তরের নিরাপত্তার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানের তদারকি সম্পর্কে ফেনী(ডিবি) অফিসার ইনচার্য হারুন-অর-রশিদ জানায়, আমাদের জেলা পুলিশ প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা শহরের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশিং চেক পোষ্টের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, আমাদের নজরে থাকবে সকল স্তরের প্রত্যেকেই। কারণ সময় অনুযায়ী র্দুবিত্তদের আন্দোলনেও এসেছে পরিবর্তন। অনেক সময়ই ঝটিকা আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সাধারন মানুষদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় আমাদের সকল দিকে লক্ষ্য রেখে সার্বিক পরিস্থিতিকে সর্ব সাধারনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অন্যতম কাজ।