যশোরের গদখালী চাষিদের ৩৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট
ফুলের মৌসুম ফেব্রুয়ারি। এ মাসেই বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই তিনটি দিবসে বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ‘ফুলের রাজধানী’ যশোরের গদখালীর চাষিরা। দিনরাত বাগানের পরিচর্যায় কাটছে তাদের সময়। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছর ৩৫ কোটি টাকার উপরে ফুলের বেচাকেনা করতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা বসন্ত, পরদিন ভালোবাসা দিবস। এ দু’টি দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে মুখিয়ে আছেন দেশের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সীরা।
প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। মানুষের মনের খোরাক মেটাতে গদখালীতে চাষিরা এখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ফুল দেরিতে ফোটাতে গোলাপের কুঁড়িতে পরিয়ে রাখছেন ‘ক্যাপ’। ফলে বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল বাজারে দেয়া নিশ্চিত হবে।
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাসসহ নানা রঙের ফুল। চোখ ধাঁধানো এই সৌন্দর্য কেবল মানুষের হৃদয়ে অনাবিল প্রশান্তিই আনে না, ফুল চাষ সমৃদ্ধিও এনেছে অনেকের জীবনে। ফুলেল স্নিগ্ধতায় এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। ফুলচাষি হাফিজা খাতুন হ্যাপি বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে যে ফুল বেচা-কেনা হয় এর অন্তত ৭০ শতাংশই যশোরে উৎপাদিত ফুল। তবে এবারের ভালোবাসা দিবসে ফুলের যেমন উৎপাদন বেশি। তেমনি চাহিদা অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি। তাই শহর-নগরের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ফুলের অর্ডার নিচ্ছি।
ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ডার পাচ্ছি। তাদের চাহিদা মতো ফুল সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত আছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস বলেন, বিদায়ী ২০১৭ সালে শুধু গদখালি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়। এবছর তা অতিক্রম করবে বলে আশা করছি। ফুল চাষকে লাভজনক করে তুলতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।