রিক্সা চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা শ্রীপুরে এ এস আইকে গণধোলাই
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক রিক্সাচালককে ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টাকালে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) রেজানুর ইসলামকে গণধোলাই দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা।
পরে শ্রীপুর থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে স্থানীয় জনতার অবরোধ থেকে মুক্তি পায়। এসময় এ.এস.আইকে উদ্ধার করতে যাওয়া এক কনস্টেবল উত্তেজিত জনতার মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের বহেরারচালা গ্রামে আফছার উদ্দিনের বাড়ীতে স্থানীয় একটি মাজারের বার্ষিক ওরস সংক্রান্ত বৈঠক চলছিল। বৈঠক চলাকালীন সময়ে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) রেজানুর রহমান তাঁর সোর্স নিয়ে ওই বাড়ীতে মহব্বত আলী নামের এক রিক্সাচালককে ইয়াবা ব্যবসায়ী দাবী করে আটক করে। এসময় উপস্থিত লোকজন রিক্সা চালককে আটক করার কারন জিজ্ঞাসা করে এবং এএসআই রেজানুর তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে উপস্থিত সকলকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে আটক করা হবে বলে হুমকি দেন।
এতে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে এএসআই রেজানুরের উপর চড়াও হয়। এ সময় তাকে মারধর করে তাকে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার ওসি (অপারেশন) হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ও উত্তেজিত জনতাকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) রেজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাতের বেলা দেখা করার আশ্বাস দিয়ে সংযোগ কেটে দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।