দেখার যেন কেউ নেই নিজ জন্মভূমিতে অবহেলা আর বেহাল দশা পড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বিশ্ব বরেণ্য রাজনীতিবিদ, বাঙ্গালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বরণে নির্মিত একটি ভাস্কর্য। গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজে এটিই স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাস্কর্য। কিন্তু বর্তমানে যতেœর অভাবে এর বেহাল দশা অথচ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থিত এই প্রতিকৃতিতেই শোক দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ পরিবারের সদস্যরা।
২০০৯ সালে সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের উদ্দ্যোগে সকল সাধারন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলীর সম্মেলিত প্রচেষ্টায় শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মিত হয় এই ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যটি ঠিক নিচেই বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্বৃতি দিয়ে লেখা রয়েছে, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” “এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাস্কর্যটি ফলক উন্মোচন করেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। ভাস্কর্যটি নির্মাণ ও উদ্বোধন বেশ জাকজমকপূর্ন পরিবেশে হলেও বিগত বছর গুলোতে একটি বারও ভাস্কর্যটির রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামত করা হয়নি। ভাস্কর্যটি পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফাঁটলসহ মরিচা পূর্ন অবস্থায় রয়েছে। নিজ জন্মস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি এমন অবহেলা আর অযতেœ পড়ে রয়েছে এটা আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কলেজের এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিদিনই বাইরে থেকে ঘুরতে আসা লোকেরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির এই অবস্থা দেখে সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ প্রশাসনের সমালোচনা করে, হাসি-ঠাট্টা করে এতে করে আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়। তিনি অবিলম্বে এই প্রতিকৃতির সংস্কার ও সংরক্ষনের জোর দাবী জানায়।
গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম স্যারে সাথে কথা বলেছি, কিন্তু এটি সংস্কার বা প্রতিস্থাপন করতে কোন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, আমি অচিরেই খোজ খবর নিয়ে এর একটি ব্যবস্থা করবো।
অবিলম্বে এই প্রতিকৃতির সংস্কার করে সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ প্রশাসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করবে বলে আশা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরসহ অভিজ্ঞ মহলের।