তাহিরপুরে ১৭টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই,অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্টান আগুনে পুড়ে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার দিন গত মধ্য রাতে (৩টার সময়) এ অগ্নি কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। তবে কি ভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে না পারলেও সর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ী সূত্রে জানাযায়,শনিবার দিনগত রাত আনমানিক ৩টার সময় এ বাজারের পশ্চিম দিকে শাহজালাল টাওয়ার সংলগ্ন খসরুল আলম টিন সেটের তৈরী মার্কেট টিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার সাথে সাথে বাজারে অবস্থাকারী ব্যবসাযী ও স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে আশ-পাশের বসতবাড়ির সবাই এগিয়ে আসলেও প্রায় ২ঘন্টা প্রান প্রন চেষ্টা চালিয়েও কোন লাভ হয় নি। এ মার্কেটে লেপ তোশকের দোকান ১টি,মোদির দোকান ৪টি,ফানির্সারের দোকান ১টি,ফামেসী দোকান ১টি,ঔষধঘর,১টি গোদাম ঘর,সেলুন,মটর সাইকেল গ্যারেজ সহ ১৭টি দোকান এক বাবেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান গুলোর মালিকগন জানান,ভাই কি করব এবার একবাইে ত শেষ হয়ে গেছি। আমাদের জীবন জীর্বিকার সম্পদ আগুনে পুড়ে সব শেষ করে দিছে। গত কয়েক বছর ধরেই হাওরের বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় একবারেই নিঃশ্ব। কোন রখমে এই ব্যবসা দিয়ে সংসার চলাইছিলাম তাও শেষ। কি ভাবে জীবন চালাব এখন বুজতে পারছি না। তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এরশাদ আলী সহ ব্যবসায়ীরা জানান,আব্দুল বাছিত,রেনু মিয়া(বেরাইটিছ দোকান),তোফাজোল(লেপ তোসেকের দোকান),ফরহাদ মিয়া(চা ষ্টল),শফিকুল ইসলাম(ফার্নিচার দোকান),মোতাকাব্বির,রজত সিংহ তালুকদার(ফামের্সী),সুজিত চন্দ্র,কটু চন্দ্র (সেলুন), কাজল তালুকদার(দলিল লেখকের অফিস),বাবলু মিয়া মটর সাইকেল গ্যারেজ,মহোন সরকার(ফুয়াং কোম্পানীর গোদাম),আলমাছ মিয়া(রড,সিমেন্ট দোকান)সহ ১৭টি দোকান পুড়ে একবাইে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগার পর সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাই কিন্তু যে ভাবে আগুনের বিস্তার করে তাতে আমরা সবাই মিলে ২ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ফার্য়ার সার্ভিস না থাকায় এ ভাবে বার বার আগুনে পুড়ে এ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার বেশী ক্ষতি হয়েছে এই বাজারের। এ বাজারে আরমান বস্ত্র বিতানের সত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম,ব্যবসায়ী জাকারিয়া রনি,শিবলী আহমেদসহ স্থানীয় ইফতেকার শিপুল,শিক্ষক সহ সচেতন লোকজন জানান,মধ্য রাতে ঘটনার সময় সবাই ঘুমে থাকায় ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে। আগুনে শাহজালার টাওয়ারটিও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে ফার্য়ার সার্ভিসের লোকজন আসলেও কোন লাভ হয় নি। কারন এর পূর্বে ত সব শেষ। সব উপজেলায় ত ফায়ার সার্ভিস আছে যদি তাহিরপুর উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থান করা হয় তাহলে সবাই উপকৃত হত। এভাবে আগুনে সব শেষ হত না। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্দি ধর জানান,খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে সবার সাথে আগুন নেভাতে সহযোগীতা করে। কি ভাবে আগুন লেগেছে তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি। প্রায় ২ঘন্টা পর ভোর ৫টার সময় আগুন নেভাতে সক্ষম হই আমরা সবাই। এ উপজেলায় একটি ফার্য়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থান করা খুবেই জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এপর্যন্ত বাজারটিতে ৬টির বেশী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটি টাকার বেশী ক্ষতি হয়েছে।