নিহত শাহজাহান(৪০) টাঙ্গাইল সদর জেলার চরগানা গ্রামের মৃত বিশা মিয়ার ছেলে। এছাড়া আহত গাড়ির হেলপার টাঙ্গাইল সদরের বিশ্বাস মৃকা গ্রামের মৃত মীর সানোয়ার হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়া(৪৫) ও সুপারভাইজার শহিদুল খান(৩৫) টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার পাছতা গ্রামের মৃত ইবাদাত খানের ছেলে। এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, গতকাল রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল ধলেশ্বরী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাচ্ছিল । এমন সময় আবদুল্লাহপুর ও বাইপাইল থেকে ১৩জন ডাকাত সদস্য যাত্রীবেশে বাসে উঠে। বাসটি চন্দ্রা ছেড়ে মির্জাপুর এলাকা এসে পৌঁছলে ডাকাত সদস্যরা বাসটিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু চালক তাদেরকে বাসের চাবী দিতে রাজী না হওয়ায় চালক ও হেলপারকে বাসের পিছনের সিটে বেঁধে রাখে ও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এরপরে বাসটি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বলিবদ্র এলাকায় নিয়ে আসে ডাকাত সদস্যরা। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট করে এবং পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাসটি বলিবদ্র বাজার থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এসময় বাসে পিছনের সিট থেকে চালক শাহজাহান মিয়ার, সুপারভাইজার শহিদুল ও হেলপার বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহজাহান মিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সুপারভাইজারকে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এঘটনায় ডাকাত সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
আশুলিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।