উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রস্তুত রাজশাহীর নতুন ৮ থানা
মিলন রাজশাহী : আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে রাজশাহী মহানগরী ও পবা উপজেলায় নবগঠিত আটটি থানার। যার উদ্বোধন করা হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। এ দিন রাজশাহী সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন আটটি থানার উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তত করা হয়েছে নতুন আট থানা। মহানগরী ও পবায় উপজেলা এলাকার মধ্যে এই আটটি থানার আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত থাকবেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ডা. মোহাম্মদ জাভেদ পাটওয়ারি।
মাহবুবর রহমান বলেন, জনস্বার্থে মহানগরীর চারটি ও পবা থানা ভেঙে গঠিত হবে ১২ থানা। এতে করে মহানগরীতে মোট থানার সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি। আগে মহানগর এলাকার চারটি থানার আয়োতন ছিল ২০৩ বর্গকিলোমিটার। এবার ১২টি থানার আয়োতন ৯০০ বর্গকিলোমিটারে গিয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরো বলেন, থানার কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের জনবল প্রস্তুত আছে। প্রতিটি থানায় অফিসার ইনচার্জসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন জনবল থাকবে। তবে গাড়ির জন্য আমরা আবেদন করেছি। আপাতত ভাড়া গাড়ি নিয়ে থানাগুলো চলবে বলে জানান তিনি।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, বোয়ালিয়া মডেল থানাকে পুনর্গঠিত করে দুইটি থানা করা হবে। এর একটির নাম বোয়ালিয়া মডেল, অপরটি চন্দ্রিমা থানা। রাজপাড়া থানাকে ভেঙ্গে রাজপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা নবগঠিত হবে, মতিহার থানাকে পুনর্গঠিত করে মতিহার, কাঁটাখালি ও বেলপুকুর থানা হবে, শাহমখদুম থানাকে পুনর্গঠিত করে শাহমখদুম ও এয়ারপোর্ট থানা এবং পবা থানাকে পুনর্গঠিত করে পবা, কর্ণহার ও দামকুড়া থানা করা হবে।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এ সরকার জনগণের জানামালের নিরাপত্তা দিতে অঙ্গিকার বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের নিরাপত্তা ব্যবসার আমুল পরিবর্তণ হয়েছে। যার অংশ হিসেবে রাজশাহী পাঁচটি থানা ভেঙ্গে ১২ থানায় উন্নিত করা হচ্ছে। এতে রাজশাহীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে মনে করেন এই সাংসদ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী শান্তির নগরী। মহানগরীতে থানা বৃদ্ধি হওয়ায় সীমানা বৃদ্ধি পাবে এবং নগর উন্নয়ন হবে। মানুষের নিরাপত্তা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।