নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় মেম্বারসহ চারজনকে আদালতে প্রেরণ তথ্য জানাতে সাংবাদিকদের ওসির অসহযোগিতা
এস এম আলমগীর কবির নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশ (৪৮) কে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন-দিঘলিয়া ইউপি মেম্বর বাটিকাবাড়ি গ্রামের মহিউদ্দিন কাজীর ছেলে ফরিদ আহম্মেদ বুলু (৪৮), কুমড়ি গ্রামের আবদুস সালাম শরীফের ছেলে শরীফ বাকি বিল্লাহ (৩৮), একই গ্রামের সোহেল হোসেনের ছেলে স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা এবং লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুরের সাত্তার শেখের ছেলে মিরান শেখ (৩০)।
এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহতের স্বজনেরা জানান, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে, পলাশ হত্যার ঘটনায় মামলাসহ আটকের ব্যাপারে গত শুক্রবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে শনিবার বিভিন্ন সময়ে লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি। সংবাদকর্মীরা ওসির সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অসহযোগিতা করেন। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের অসহযোগিতা করেন বলে নড়াইলের গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, নড়াইল সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনেরা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে লোহাগড়ার দিঘলিয়ার বাড়ি থেকে অফিসের কাজে লোহাগড়া উপজেলায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ। দুপুর ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশকে প্রথমে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গী ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলুর চিৎকারে উপজেলা চত্বরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পলাশের মৃত্যুদেহ লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। # ছবি সংযুক্ত