প্রধানমন্ত্রীর আগমনে সাজছে রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভার বাকি আর পাঁচ দিন। চোখে পড়ছে শোভাবর্ধনসহ নান্দনিক আল্পনা। ঘনিয়ে আসছে দিন, সাজছে শুরু করেছে রাজশাহী। এরইমধ্যে মহানগরীসহ উপজেলাগুলোতে পৌছে গেছে আগমনি বার্তা।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যদিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি চলছে মহানগরীতে সাজ-সজ্জার কাজ। সাথে ধোয়া-মুছা তো আছেই। পাশাপাশি জোরে শোরেই চলছে মাইকিং।
মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে দেয়াল লিখন ও দৃষ্টিনন্দন আল্পনা শোভা পাচ্ছে। জনসভার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সাজ-সজ্জা। রাস্তায় রাস্তায় শোভা পাচ্ছে নৌকা প্রতিক সম্বলিত বিশাল বিশাল তোরণ। এরপর পুরো নগরীই সেজে উঠবে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে আগমনের যাত্রা পথের রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে।
২২ ফেব্রুয়ারী বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফর ও জনসভা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় রাজশাহীর উন্নয়নে নানা দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ১২ সদস্যের উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি এখন পালিত হচ্ছে আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে।
মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ও নগরীর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এখন ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একইভাবে আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনেরও ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া পুরো নগরীজুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে। একইসাথে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ সভা করা হচ্ছে। প্রতিটি মহল্লায় গিয়ে গিয়ে জনসংযোগ করা হচ্ছে। এছাড়াও ১৪ দলের সাথে যৌথ সভা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। এছাড়া ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, মাইকিংসহ নানা উপকরণ ব্যবহার করে জনসভার খবর প্রচার করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যথারীতি প্রচার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে সচেতনতামূলক সভা করা। যাতে করে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে জনসভায় অংশগ্রহণ করানো যায়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভা বিষয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, জাতির জনকের কন্যা দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীকে ভালবাসেন বলেও আবারো তিনি আসছেন। তিনি রাজশাহীর জন্য আশীর্বাদ। তিনি রাজশাহীর উন্নয়নের প্রতিক হিসেবেই এবারে আসছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করেই ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নের নানা ফলক উন্মোচন করবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নানা দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, রাজশাহী-ঢাকা ননস্টপ ট্রেন সার্ভিস চালু, রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর ডাবল গেজ লাইন, রাজশাহী-কলকাতা সপ্তাহে দুইদিন ট্রেন সার্ভিস চালু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায়ের দুইটি সরকারি স্কুল স্থাপন (বালক ও বালিকা) ও শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে নওহাটা পর্যন্ত চার লেন সড়কসহ নানা দাবি তুলে ধরা হবে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য ও সম্ভাব্য নৌকা প্রতিক প্রত্যাশিরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর ২২ তারিখের জনসভা রাজশাহীতে স্মরণকালের জনসভায় জনসমুদ্রে রুপ নিবে।