সাত মার্চ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জমায়েতের ঘোষণা আওয়ামী লীগের
ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে সামনে রেখে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে রোববার দুপুরে ধানমন্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে দলটি। সভায় উপস্থিত থেকে নির্দেশনা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন: যতো বেশি সংখ্যক নেতা-কর্মীর সমাগম করা সম্ভব তা করতে হবে। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ থেকে যেনো গণজাগরনের ঢেউ ঢাকায় এসে পড়ে। আজ থেকেই ঘরোয়া সভা শুরু করে দিন। এবারের ৭ মার্চে নতুন মাত্রা যোগ করতে হবে।
এজন্য দলের পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব তা করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ঢাকার আশ-পাশ থেকে জনসভায় যাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থার কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি প্রত্যাশা করেন এবারের জনসভা যেনো প্রাণের মেলায় পরিণত হয়। স্মরণকালেরর সব রেকর্ড ভেঙে দিতে প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে জনসংযোগ শুরু করতে নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দেন কাদের।
এবারের জনসভায় মূল বিষয়বস্তু হিসেবে ৭ মার্চেই যে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা দেওয়া হয়, সেটা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে বলে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবও দেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: বিএনপি নেতারা বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড হওয়ার পর তারা নাকি আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়েছে। তাহলে তো তারা খালেদা জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচনে যেতে পারে। আমরাও বিএনপিকে নিয়েই নির্বাচনে যাবো।
চাকরিতে অাবেদনের বয়সসীমা বাড়ালে আগামী নির্বাচনে যুবসমাজের সমর্থন পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিবেচনা করা যায় কিনা যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর এমন প্রশ্নেরর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে অালোচনার অাশ্বাস দেন ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া তিনি ৭ মার্চকে জাতীয় ছুটির দাবি জানান।