আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় লুটের মালামাল উদ্ধার গ্রেপ্তার ৪;
আব্দুস সাত্তার,আশুলিয়া-সাভার
রবিবার সকালে ঢাকা জেলা উত্তর সাভার ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-১. আলমঙ্গীর হোসেন পঁচা (৩৫)।তার গ্রামের বাড়ির যশোরের কোতায়ালী থানা এলাকায়। ২. সোহেল রানা ওরফে জয় (৩২)। সে ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার জুরকাঠি গ্রামের মৃত খালেক শরীফের ছেলে। ৩. মুটক শিকদার (৩৪)। তার গ্রামের বাড়ির গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় ও ৪. মোমিন সরদার (৩২)। সে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার উদয়পুর গ্রামের সাখাওয়াত সরদারের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ডেন্ডাবরের বসবাস করে আসছিলো। ডাকাত সোহেল রানার ওরফে জয় বাসা ভাড়া নেয় ও ডাকাতির পরিকল্পনা করে। ডাকাতির আগে টার্গেট বাড়ির বিভিন্ন তথ্য ও খোঁজ খবর সংগ্রহ করার দায়িত্ব ছিলো সোহেলের ওপর। এই ডাকাত চক্রটি সাভার আশুলিয়ায়সহ রাজধানীর আশেপাশের এলাকার বাসা-বাড়িতে ডাকাতি করে আসছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারী সাভারের আশুলিয়ার নলাম এলাকায় ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত। তারা বাড়ির লোকজনকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, ৮০ ভরি স্বর্নের গহনা দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ওই বাড়ির লোকজননের চিৎকারে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসে। পরে ধাওয়া করে এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিলে ঘটনাস্থলেই মুন্না নামে এক ডাকাত সর্দার মারা যায়। নিহত ডাকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত সর্দার আলমঙ্গীর হোসেন পঁচাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী যশোর, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া লুট হওয়া ১৭ ভরি স্বর্ন, নগদ ও স্বর্ন বিক্রীর দুই লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এঘটনায় তাদেরকে ডাকাতি মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত বাকি ডাকাতদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।