কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরির মহোৎসব
লোকমান হোসেন পনির,কালীগঞ্জ (গাজীপুর) :
প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরির মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন ভোর হওয়ার আগ থেকে সকাল পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের সিকিস্তি জমি থেকে শ্রমিকদের দিয়ে মাটি কেটে ট্রলার ভরে বিভিন্ন ইটভাটায় সে মাটি বিক্রি করে কিছু লোক লাভবান হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক মিলে প্রতি ট্রলার ভর্তি মাটি ৮ শত টাকা বিক্রি করে আসছে। গতকাল সোমবার কালীগঞ্জ পৌর ৮ নং ওয়ার্ড মুলগাঁও এলাকা থেকে মাটি চুরি করার সময় এসিল্যান্ড ১১ জন শ্রমিককে আটক করেছে। আটককৃতদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
স্থানীয়রা জানায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড মুলগাঁও এলাকা ও তার আশেপাশে শুষ্ক মৌসমে তীর জেগে উঠে। স্থানীয় দুলাল, কচি, বাবুল মিলে শীতলক্ষ্যা তীরের মাটি রুপগঞ্জ থানার দাউদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শেখ ফরিদ, একই এলাকার হাসান শেখের ছেলে মামুনের নিটক দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি করে আসছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে মাটি ক্রেতা শেখ ফরিদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে সে জানান, মাটি চুরির সাথে সে সম্পৃক্ত না। সে বিভিন্ন জায়গায় থেকে মাটি কিনে এনে ইটভাটায় বিক্রি করে। কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে আসা-যাওয়ার পথে মুলগাঁও এলাকার দুলাল, কচি, বাবুল তারা নৌকা দিয়ে তার ট্রলার গতিরোধ করে তাদের কাছ থেকে মাটি কিনতে বাধ্য করে । এটা সিকিস্তি জমির মাটি কিনা তা সে জানে না। এলাকায় গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। আটককৃতরা হলেন, পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া থানার খাইরুল ইসলাম, বরাত আলী, একই জেলার চাটমোহর থানার মানিক মিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার সিরাজুল, আমিরুল, করিম শেখ, আব্দুল খালেক, আজাহার, সোহেল, একই জেলার তাড়াশ থানার শফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহাগ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র ওই স্থান থেকে মাটি চুরি করে আসছে তা জেনে সোমবার ঘটনাস্থল থেকে ট্রলারসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।
ছবির ক্যাপশন ঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার মুলগাঁও এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চুরি হচ্ছে।