এবারের চা মেলায় দেখা মিলছে ২১ ধরণের চায়ের
দেশে ক্রমেই বাড়ছে চায়ের চাহিদা। সে তুলনায় পিছিয়ে চা উৎপাদনে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসেবে, প্রতিবছর চাহিদা বাড়ছে ১ কোটি ১২ লাখ কেজি। এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৬৫ লাখ কেজি। ফলে চা রপ্তানিকারক দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে আমদানিকারক দেশে। এ অবস্থায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে উন্নত জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ'সহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।বর্তমানে শহর কিংবা গ্রামে কমবেশি চা পান করেন সবাই। সময়ের সাথে সাথে চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি উদ্ভাবিত হয়েছে চায়ের নানা জাত। হোয়াইট টি, পাইনঅ্যাপল টি, ব্লাক টিসহ প্রায় ২১ ধরনের চায়ের দেখা মিলছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত চা মেলায়। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের চায়ের খোঁজে ভিড় জমাচ্ছেন দেশি বিদেশি দর্শনার্থীরা।পুরনো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি মেলায় এসেছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানও। অংশ নিয়েছে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও।বোর্ডের তথ্যমতে বর্তমানে দেশের ১৬৪টি বাগানের ২ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে চা উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া এসব বাগানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। বর্তমানে সাড়ে ৮ কোটি কেজি চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ৭ কোটি ৮৯ লাখ কেজি। ঘাটতি মেটাতে ২০১৭ সালে ৬২ লাখ কেজি আমদানি করা হয়। উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগের কথা জানালেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী।