বেপরোয়া অটোরিক্সার নির্মমতার শিকার হলেন "আর্ট শাহিন"।
এম ইউ মাহিম জেলা প্রতিনিধি ভোলা
এদেশে অদক্ষ আর মাস্তান নামক এক শ্রেনীর বেপরোয়া চালকদের হাতে জিম্মি দেশের জনগন।প্রতিদিন খবরের পাতা আর অনলাইনে চোখ রাখলেই দেখা যায় দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত,নিহত ও পঙ্গুত্ববরনের সংবাদ।যা দেখে আমরা বেদনাহত হলেও এসব সংবাদ বর্তমান বাস্তব প্রেক্ষাপটে কোন নতুন চিত্র নয়।তেমনি মাস্তান নামক এক বেপরোয়া অটোরিক্সা ড্রাইভারের বেপরোয়া অটো চালনার নির্মমতার শিকার হলেন লালমোহনের "শাহিন আর্টের" সত্বাধিকারী স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির স্নেহভাজন,সক্রিয় সংগঠক, রাজপথের নিবেদিতপ্রান যুবলীগ নেতা মোঃ শাহিন।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়,গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ঢাকা হতে তিনি নাজিরপুর ঘাটে নেমে লালমোহনের উদ্দেশ্য অটোরিক্সায় করে রওয়ানা দেন।নাজিরপুর ঘাট হতে অটোরিক্সাটি লালমোহন নাজিরপুর মুল সড়ক হয়ে মাত্র দুই মিনিট আসার পরই,বিপরীত দিক হতে
আসা আরেকটি অটোরিক্সা শাহিনকে বহনকারী অটোরিক্সাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।এতে অটোরিক্সায় বসে থাকা শাহিনের বাম পায়ের গোড়ালীর হাড় চুর্ন বিচুর্ন হয়ে যায়।প্রচুর রক্ত ক্ষরন হতে থাকে।
অবস্থা বেগতিক দেখে পিছনে থাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি জিহাদ বিন হায়দার ডিকো তাকে দ্রুত লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে আসেন।প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার বিডিএম হাসপাতালে প্রেরন করলে,তার পায়ে অস্ত্রোপচার করে হাড়ে স্টীলের চিকন রড বসিয়ে জয়েন্ট স্থাপন করা হয়। আগামী এক বছর তাকে ডাক্তারের পর্যবেক্ষনে থাকতে হবে বলে তিনি জানান।
শাহিন আক্ষেপ করে বলেন, আমি এখন স্ক্রাচে ভর দিয়ে হাটছি।পরিপুর্ন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রাচে ভর করে হাটতে হবে। আমার এ দুর্ঘটনায় আমি স্থায়ী পঙ্গুত্ববরন করতে পারতাম।আল্লাহর অসীম মেহের বানীতে তা হতে রক্ষা পেয়েছি। অথচ যে অটোরিক্সাটির বেপরোয়া ড্রাইভার আমার এ অপুরনীয় ক্ষতি করল, সে এক সেকেন্ডের জন্যও গাড়ি না থামিয়ে পলায়ন করল।কতটা অমানবিক, বিবেকবোধহীন ড্রাইভার।তার সাথে এ নির্দয় আচরনের জন্য ও তার এ অপুরনীয় ক্ষতির জন্য তিনি লালমোহন অটোরক্সা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর দৃস্টি আকর্ষন করে ক্ষতিপুরন ও দোষী ড্রাইভারের শাস্তি কামনা করে বলেন,
আমার নেতা আলহাজ্ব নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয় বিদেশে থাকলেও, আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাত্রার প্রাক্কালেই তিনি খোঁজ নিয়েছেন,
আমার সাথে কথা বলেছেন।ঢাকায় গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও আমার সাথে কথা বলেছেন। আমার চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছেন।তিনি বিদেশে বসেও আমার মত একজন কর্মীর জন্য যা করেছেন তা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানানোর মত আমার ভাষা নেই।আমি আমার সুস্থতার জন্য আমার প্রিয় নেতা সহ সকলের নিকট দোয়া চাই।