আশুলিয়ার গাজীরচট ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকান্ড
আব্দুস সাত্তার,সাভার:
সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় একটি ফার্নিচার তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে আরও ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যোগ দিয়ে ড্যাম্পিং এর কাজে অংশ নেন। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে কারখানার সব মালামাল পুড়ে গেছে।কারখানাটি বিভিন্ন ধরণের আসবাবপত্র তৈরি করতো। দেশে ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হতো।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট আমির করিমের মালিকানাধীন লিগাসী নামে এক তলা টিনসেডের একটি রপ্তানীকারক ফার্নিচার কারখানায় আগুন লাগে। প্রায় রাত ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যেক্ষদর্শী আরাফাত হোসেন জানান, হঠাৎ করে লিগামী ফার্নিচার এক তলা স্টীলের সেট দিয়ে তৈরি কারখানাটি থেকে বিকট শব্দে অগিকান্ড ঘটে। কুন্ডলী পাকিয়ে মাঝখান থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ভবনের স্ট্রীলের সেডটি ভেঙ্গে কারখানার মাঝখানে পড়ে যায়। এসময় আশে পাশের মানুষ ছুটে আসে ও আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন বড় হওয়ায় কোন ভাবে ই কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিলো না। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে করে।
আশুলিয়া থানার এস আই রুহুল আমিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে কারখানার মুল ফটক ভেঙ্গে আগুন নিয়নাত্রণে কাজ শুরু করে। তবে এক তলা ভবনের প্রায় মালামাল পুড়ে যায়। ভবনের দেযালের কারণে আগুন বাইরে ছড়াতে পারেনি। তবে অনেক সময় ধরে ভিতরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তবে পাশে থাকা একই মালিকের কারখানাটি আগুন থেকে রক্ষা পায়।কারখানাটি আশেপাশে আবাসিক এলাকা ছিলো বিধায় ভয়ে লোকজন ছুটাছুটি শুরু করে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, গাজীরচট এলাকায় ফার্নিচার কারখানায় আগুনের সূত্রপাত খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। পরে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় সাভার থেকে আর ১ টি ইউনিট যোগ দেয়। তবে পানির সরবরাহ না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে সময় লাগে। রাত প্রায় ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ধামরাই থেকে ১ টি ও উত্তরা থেকে আরও ১ টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট যোগ দেয়। সবশেষ মোট ৭ টি ইউনিট কাজ করে ঘটনাস্থলে।ফার্নিচারের কাঠ ও রং করার স্প্রীড জাতীয় কেমিক্যাল থাকায় আগুনের তীব্রতা দ্রুত বেড়ে যায়। অন্যদিকে কারখানাটি আগুন নির্বাপনের ও পানির সরবরাহের কোন ব্যবস্থা ছিলো না। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।পাশাপাশি তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা সম্ভব নয়।