অস্থিরতা নিরসনে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের পাশাপাশি অস্থিরতা নিরসনে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ সংশোধিত করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। ব্যাংকের নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং কর্মপরিধি সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মুহিত বলেন, ব্যাংকের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও তা পরিপালনের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দায়বদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব যথাযথ পরিপালন করার লক্ষ্যে পর্ষদ সদস্যদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন এবং কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরীক্ষা কার্যক্রমকে ব্যবস্থাপনা হতে স্বাধীনভাবে পরিচালিত করার জন্য পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহকভেদে এবং খাতভিত্তিক বৃহদাংক ঋণ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকগুলোর শীর্ষ-২০ ঋণ খেলাপীর নিকট থেকে ঋণ আদায় জোরদার করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদানও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ বা অডিট বা নির্বাহী কমিটির কার্যবিবরণীগুলো নিয়মিতভাবে পর্যালোচনাপূর্বক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকসমূহের অনিয়ম, অস্থিরতা ও ঝুঁকি লাঘব করার লক্ষ্যে ৬টি কোর রিস্কস ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা, ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা নির্দেশিকা এবং স্ট্রেস টেস্টিং নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পাদনের সুবিধার্থে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বিশদ গাইডলাইন্স ইস্যু করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, ভবিষ্যতে ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত ক্ষতি মোকাবেলার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণও অব্যাহত রয়েছে।