মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় সম্মত ইইউ
রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।
সোমবার ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছায় সংস্থাটি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবিধকার লঙ্ঘণের গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি বলে জানায় রয়টার্স।
ওই বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পরকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়।
গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, ইইউ এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মঘেরিনির কাছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানের বিষয়টি উঠে আসে।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি বা সম্পদ জব্দের মতো ব্যবস্থাই হতে যাচ্ছে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইইউ’র সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এর আগে রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
মিয়ানমারের ওপর নব্বইয়ের দশক থেকে আরোপিত ইইউ’র অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করতে চায় সংস্থাটি। যদিও তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
দুই কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় কে আসবে এমন তালিকার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েকে গত ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে যুক্তরাষ্ট্র।
ইইউ’র একজন কূটনীতিক জানান, ইইউ’র তালিকায় একাধিক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার নাম থাকতে পারে।
গত বছরের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো নিপীড়ণের শিকার হয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধন অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।