সীমান্তে শক্ত অবস্থানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তামরু সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ ভারী অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে শক্ত অবস্থানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকােবেলায় মিয়ানমারকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরে এক তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে মিয়ানমারের সেনারা জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত আসতে মানা করছে। এটি এক ধরনের পুশিং পাশাপাশি ভারী অস্ত্র, গোলা বারুদের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। তাই সীমান্তে বিজিবিও তাদের জনবল বৃদ্ধি করেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি, পর্যবেক্ষণ করছি। যে কোন ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বিজিবি সব সময়ই দেশ মাতৃকার তরে নিবেদিত প্রাণ থেকে তাদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা পালন করবে। সীমান্তে ভারী অস্ত্র মোতায়েন ও সেনা সমাবেশ বর্ডার নর্মস (নিয়ম) এর বাইরে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের দেড়শ’ গজ ভিতরে সেনা সমাবেশ করেছে। ভারী পিকআপ, ট্রাক ও লরিতে করে এসেছে মিয়ানমারের সেনারা। তারা ভারী অস্ত্রও মোতায়েন করেছে।
‘‘পারস্পরিক আলোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারকে। অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠকের জবাব দেবে এবং এ পরিস্থিতির সমাধান পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই হবে’’, বলেন মুজিবুর রহমান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে। তাই এমন কোন পদক্ষেপ তাদের নেওয়ার কথা নয়। এটি কোন উস্কানির পর্যায়ে পড়ে না। তাদের নিশ্চয়ই কোন পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের স্ট্রাটিজিক প্ল্যান কী সেটা জানার জন্যই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এখনও এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে অন্য কোন বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। তবে মিয়ানমার স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে বলেই আমরা বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মিয়ানমার কেন অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করলো সেটা বৈঠকের পরই বিস্তারিত জানাতে পারব।