গোপালগঞ্জে পুলিশ মেমোলিয়াল ডে অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে পুলিশ মেমোলিয়াল ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ মেমোলিয়াল ডে ১লা মার্চ উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জেলা পুলিশের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় কর্তব্যরত অবস্থায় যে সকল পুলিশ সদস্য শহিদ হয়েছে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: আবু তারেক, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সানোয়ার হোসেন (পিপিএম), পুলিশ সুপার (অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার পুলিশ হেড কোয়াটার মো: এয়াকুব হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খান শহিদ পুলিশ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতীকি বেদিতে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে পুলিশ লাইন সভা কক্ষে উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহীদ পুলিশ পরিবারের সদস্যরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় গোপালগঞ্জের মুকসুপুরের নিহত এস আই আবুল বাসারের মেয়ে ফাতেমা আক্তার সীমা বলেন, আমার বাবা শেরপুর চাকরিরত অবস্থায় ২০০৬ সালে মারা যান তখন আমাদের বলা হয়েছিল লেখা পাড়ার খরচসহ আমাদের পরিবারকে দেখবেন। কিন্তু আজ বার বছর পার হলেও ১২টা টাকাও আমরা পাই নাই।
গোপালগঞ্জের মুকসুপুরের নিহত কনেস্টেবল শিবনাথের স্ত্রী অনিতা সরকার বলেন, আমরা এমনিতেই অসহায়। শহিদ পুলিশ পরিবারের সদস্য হিসাবে আমরা যাতে রেশন পেতে পারি পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সেই আবেদন করি।
কাশিয়ানী থেকে আসা নিহত পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন মৃধার ছেলে পারভেজ মৃধা বলেন, আমরা তিন ভাই বোন অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করি। আমরাও এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য পাই নাই।
গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, যার যায় সেই বোঝেন এই কষ্ট কেউই বুঝতে পারে না। যারা কর্তব্যরত অবস্থায় শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি আপনাদেও ভরসা দিয়ে বলতে চাই সরকার থেকে যে সকল সুবিধাদি দিবেন আমি আপনাদের মাঝে সঠিক ভাবে তা পৌছে দিবো। আমরা ইতিমধ্যে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে আবেদন করেছি খুব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে।
অনুষ্ঠানে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কর্তব্যরত অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেলার ৩১ পুলিশ সদস্য মুত্যু বরন করেন সেই সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।