তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানায় বিশ্বে একনম্বরে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানায় বিশ্বে একনম্বরে বাংলাদেশ— জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন-ইউনাইটের স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল-ইউএসজিবিসি।
তাদের হিসাবে, সারাবিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নতমানের কারখানার ৭টিই বাংলাদেশে অবস্থিত।
সম্প্রতি সংগঠনটি বাংলাদেশের ১৩টি পোশাক কারখানাকে প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে 'লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন-লিড' সনদ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত এ ১৩টি কারখানাকে সম্মাননা দিয়েছে বিজিএমইএ।
ইউএসজিবিসি'র এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি ফেরাতে সহায়ক হবে বলে আশা শিল্প সংশ্লিষ্টদের।
রানা প্লাজার মত ট্র্যাজেডি যে দেশে ঘটেছিল সেই দেশই পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবুজ কারখানার দিক থেকে বিশ্বে এখন প্রথম। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএসজিবিএস বাংলাদেশের ৬৭টি কারখানাকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন-লিড সনদ দিয়েছে। এর মধ্যে ১৩ টি কারখানাই আবার সর্বোচ্চ রেট অর্থাৎ প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।
লিড সনদ প্রাপ্ত এসব কারখানাকে সম্মনানা দিল বিজিএমইএ। সনদ পাওয়ার আনন্দ যেমন আছে, তেমনি রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিকে ঘিরে বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আক্ষেপও আছে সনদপ্রাপ্ত শিল্প কারখানা মালিকদের মধ্যে।
বাংলাদেশের আরো ২৮০টি পোশাক কারখানা লিড সনদ পাওয়ার তালিকায় অপেক্ষমান।
এদিকে, ভারতের মাত্র ৫টি পোশাক কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। আর অপেক্ষায় আছে ২০টি। অন্যান্য প্রতিযোগী পাকিস্তান-ভিয়েতনাম এ তালিকায় অনেক নীচে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের অভিযোগ, বাংলাদেশের এ ইতিবাচক অর্জনগুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয় না।
যেসব প্রতিষ্ঠান পরিবেশের সুরক্ষা, মানবস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে কারখানা নির্মাণ করেছে শুধু তাদেরকেই লিড সদনদের জন্য বিবেচনা করা হয়।