সীমান্তের শুন্যরেখায় বিজিবি-বিজিপির ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সেনা সমাবেশকে নিয়মিত টহলের অংশ বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। একইসঙ্গে সীমান্তে কোন ধরনের গুলি করার কথা অস্বীকার করেছে তারা।
শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শুন্যরেখায় বিজিবি-বিজিপির ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ ছাড়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ এবং সামরিক সরঞ্জাম কেন আনা হয়েছে তা জানতে চায় বিজিবি। এর জবাবে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান: শুন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের আবারো তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের শূন্যরেখার মৈত্রী সেতুসংলগ্ন পয়েন্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান। মিয়ানমারের ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ১ নং ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক অং সু।
মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন: আমরা মিয়ানমারের কাছে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ, গুলি বর্ষনের ঘটনার ব্যাখা দাবি করি। এসময় তারা গুলি বর্ষণের ঘটনাটি অস্বীকার করে। আর সৈন্য সমাবেশের বিষয়টি নিয়মিত টহল আর রুটিনের কাজ বলে জানান। সেই সাথে ঘুমধুম সীমান্তের শুন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাসও দেন।
‘এ ছাড়া বৈঠকে দু দেশের সীমান্তে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখাসহ সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।’
তারপরও সীমান্তে যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল মঞ্জুরুল।
এর আগে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টির কারণে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।