সিরিয়ার আফরিন শহরের উত্তর অংশে হামলায় তুরস্কের ৮ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সিরিয়ার আফরিন শহরের উত্তর অংশে হামলায় তুরস্কের ৮ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ১৩ জন সেনা সদস্য।
এই বছর জানুয়ারিতে চলা অভিযানের মধ্যে বৃহস্পতিবার হামলাটি ছিল তুর্কি সৈন্যদের জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।এর আগে আফরিনের উত্তরপূর্বাঞ্চলের শেখ হারুজ এলাকায় কুর্দি বিদ্রোহীরা তুরস্কের একটি ট্যাংকে হামলা চালায়। এতে পাঁচ সেনা সদস্য নিহত হয়। এছাড়া পৃথক হামলায় আফরিনে তিন তুর্কি সেনা নিহত হয়।
এ ঘটনার পর সিরিয়ার পূর্ব ঘোটা অঞ্চল নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় চলছে বিতর্ক।
এছাড়া ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কতে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ঘোটা শহরের পূর্বাঞ্চলে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন দিকে গুলি ও বোমা হামলায় প্রায় ৫৮০ জন নাগরিক মারা গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এর মধ্য ৩ লাখ ৯৩ হাজার বেসামরিক নাগরিক খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের তীব্র সংকটে পরেছে।
চিকিৎসা সুবিধাগুলির বিরুদ্ধে বারবার আক্রমণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ঘটনায় জেনেভা সভায় সিরিয়া হামলা নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়।
গত ২০ জানুয়ারি থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দি অধ্যুষিত আফরিন শহরে ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ অভিযান বলে জানায় দেশটি। দুদেশের সীমান্তের বেশিরভাগ অংশই ওয়াইপিজির দখলে রয়েছে। তুরস্কের দাবি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংঘগঠন পিকেকে’র সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে ওয়াইপিজির।
এদিকে সিরিয়ায় ওয়াইপিজি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযান শুরু পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে দেশটির। অভিযোগ ছিল তুরস্কও। তারা জানায়, আইএসবিরোধী লড়াইয়ের সময় থেকে আফরিনের কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।