এবারের ৭ই মার্চের ভিন্নমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বাইরের কারো উপদেশের দরকার নেই— সংবিধান অনুযায়ী সবার অংশগ্রহণে হবে আগামী নির্বাচন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করার সময় কাদের বলেন, এবারের ৭ই মার্চের ভিন্নমাত্রা রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের দিন-বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের আগে এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ৭ই মার্চের জনসভা সফল করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিলি করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ইনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এবারের ৭ই মার্চ ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে।
বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এদেশের গণতন্ত্র পরিচালিত হবে এদেশের জনগণের মাধ্যমে এ নিয়ে কারো উপদেশের প্রয়োজন নেই।
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়ে নির্বাচনের একবছর আগে থেকে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন এবং জনগণকে ওয়াদাবদ্ধ করছেন। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব এ গণতান্ত্রিক নিয়মতো আর থাকছে না।
এসব কথার জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন কাজের চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরবেন এটাই স্বাভাবিক আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে ভোট চাইতেই পারেন তিনি।
জনসভার দিন জনভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে সারাদেশে সাতদিনের কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৭ মার্চ, বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনসভায় রাজধানী ও আশাপাশের জেলাশহরগুলো থেকে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানো হবে। কর্মসূচি সফল করতে সকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।