নির্বাচনে বাইরের দেশের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য হবে না : ওবায়দুল কাদের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিদেশী কারও উপদেশের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: নির্বাচনে বাইরের দেশের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব দেশ পরামর্শ দিচ্ছে তারা ধোয়া তুলসি পাতা নয়। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কোনো চাপ নেই বলেও জানান তিনি।
৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভাকে সামনে রেখে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন: একটি বিশেষ মহল চোরাগতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় যেতে চাইলে দেশের জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কোনো চাপ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন: আমরা গণতন্ত্র চর্চা করি। নির্বাচন নিয়ে যারা আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন, তাদের দেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা তারা সেটা দেখুক। আমাদের দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা আমরা ভালো জানি। এ নিয়ে বাইরের দেশের কিছু বলার দরকার নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনসভায় আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার ভোট চাওয়া আইনের ব্যাত্যয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে জনগণের কাছে তিনি ভোট চাইতেই পারেন। এখানে আইনের ব্যাত্যয় ঘটছে না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রথম পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন: যুক্তরাষ্ট্র চাইলে আগামী নির্বাচনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন: যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ি ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় দাবি করে আওয়ামী লীগের এ অন্যতম জেষ্ঠ্য নেতা বলেন: ‘আমরাও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচন হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো। বারাক ওবামা যেমন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছেন, সেভাবে হবে।’
আমরা চাই- সকল দল যাদের নির্বাচন কমিশনে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ভুমিকা রাখতে পারে যাতে সবাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অংশ নিতে পারে।