আব্দুস সাত্তার, সাভারঃ
আশুলিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি শ্রমিক কলোনী। এঘটনায় প্রায় ১৫টি কক্ষ পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের সময় শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে থাকায় কোন কক্ষ থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, ব্যবহার্য কাপড়-চোপরসহ কোন জিনিসই বের করতে পারেননি। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে এক কাপড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে শ্রমিক ও কলোনীর মালিক সূত্রে জানা যায়।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আশুলিয়ার তাঁজপুর এলাকার তমিজ উদ্দিনের একটি কলোনীতে এ অাগুনের ঘটনা ঘটে।
আগুনে সর্বহারা শ্রমিকরা জানান, তারা ধনাইদ, গোরাট ও বাগবাড়ি এলাকার জেনারেশন নেক্সট, শিনশিন, সিগমা ও ক্যাপ ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করেন। রাতে ছুঁটি শেষে বাসায় আসার পূর্বেই ওই কলোনীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসে তারা দেখেন ভয়াবহ আগুনে তাদের বসবাসরত ১৫টি কক্ষ পুড়ছে। এসময় আগুনের লেলিহান তাপে কলোনীর কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে তাদের কক্ষগুলোর সবকিছুই ভস্মীভূত হয়ে যায়। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় রাত ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে তারা এক কাপড়ে প্রতিবেশীদের বাসায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
কলোনীর মালিক তমিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, কলোনীর শ্রমিক মানু মিয়ার কক্ষের অভ্যন্তরে আগুনের সূত্রপাত। তারা বলেন, প্রায় ঘন্টা দুই বিদ্যূৎ ছিল না। হঠাৎ বিদ্যূৎ আসে। পরপরই বিদূৎ চলে যায়। এর ৫মিনিটের মাথায় পূণরায় বিদ্যূৎ আসে। তখন মানু মিয়ার কক্ষে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পান তারা। মূহুর্তেই ওই কক্ষে আগুন ধরে যায় এবং পুরো কলোনীতে ছড়িয়ে পরে।
প্রতিবেশিরা জানান, মানু মিয়ার কক্ষে একটি মাল্টিপ্লাকে লাইন দেয়া ছিল টিভি, ফ্রিজ ও মোবাইলের। ওই প্লাক থেকেই আগুন লাগে এবং টিভি বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হয়। এরপর পুরো কলোনীতে ছড়িয়ে পরে। তারা আরো জানান, দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হলেও তারা এলাকাবাসীর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেন। ততক্ষনে শ্রমিকদের ও আধা পাকা কলোনীর সবকিছুই ভস্মীভূত হয়।
জানতে চাইলে, ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, তাদেরকে খবর দেয়া হয়েছে রাত সোয়া ৯টায়। সড়কে যানজট থাকায় এছাড়া ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার হওয়ায় তাদের পৌঁছতে বিলম্ব হয়। ততক্ষণে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।