তাহিরপুরে ৩লক্ষ টাকার মদ জব্দ করেছে বিজিবি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০২বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। জব্দকৃত মদের মূল্য ৩লক্ষাধিক টাকা টাকা।
এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ০৭.০৩.১৮ইং বুধবার ভোরে বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের জঙ্গলবাড়ি ও বাঁশতলা,লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব তার সহযোগী মরতুজ আলী,ফালান মিয়া,বাবুল মিয়া,মোবারক মিয়া ও রাজ্জাক মিয়াকে নিয়ে ভারত থেকে মদ ও কয়লা পাচাঁর করার সময় হাবিলদার মোনায়েম অভিযান চালিয়ে ১১৯৪এর ৫এস পিলার সংলগ্ন জঙ্গলবাড়ি নামকস্থান থেকে ৪৮বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেন। কিন্তু বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে পাচাঁরকৃত কয়লা ও মদসহ চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও তার সহযোগীদের আটক করেনি। অন্যদিকে বীরেন্দ্রনগর সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানী আলী হোসেন ভারত থেকে মদ পাচাঁর করার সময় নায়েক সুবেদার হাবিবুর রহমান অভিযান চালিয়ে ১১৯৪এর ৩এস পিলার সংলগ্ন তেরঘর নামকস্থান থেকে ১৫৮বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করলেও চোরাচালানীদেরকে আটক করতে পারেনি। এছাড়া চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর-১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহকর্মী চোরাচালান, চাঁদাবাজি ও বিজিবির উপর হামলাসহ মোট ৮টি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া ও কয়লা চোরাচালান মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭ইং এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক তাদের একান্ত সহযোগী আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও ইদ্রিস আলীকে নিয়ে বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও মদ পাচাঁর করে দুধেরআউটা গ্রামে নিয়ে সোর্স জিয়া,কালাম ও ভান্ডারী ওপেন বিক্রি করলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,চোরাচালান প্রতিরোধ করাসহ চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,এর আগে চোরাচালানী সোনা মিয়ার লালঘাটের বাড়ি থেকে ১৭বোতল ভারতীয় মদ,পার্শ্ববর্তী বাঁশতলার দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও ফালান মিয়াগং কয়লা পাচাঁরের সময় ২৭বস্তা(দেড় টন) কয়লা ও লালঘাট দিয়ে পাচাঁরের সময় ৫৮বোতল ভারতীয় মদ,লাকমা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোর্স আব্দুল হাকিম ভান্ডারীর বাড়ি থেকে ১০৫বস্তা(৭মে.টন) কয়লা ও লালঘাট গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী কালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ১বস্তা ভর্তি ২০০বোতল মদ জব্দ করা হলেও উপরের উল্লেখিত চিহ্নিত চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি ও পুলিশ। যার ফলে উপরের উল্লেখিত চোরাচালানী ও বিভিন্ন মামলার জেলখাটা আসামীরা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন কয়লার বস্তায় করে ও পাথরের ট্রলি দিয়ে অবাধে মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করাসহ মোটর সাইকেল ও গরু পাচাঁর করছে। এবং পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে নামে-বেনামে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।