‘‘গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউটের ৫০বছর পূর্র্তি উদযাপন’’
টি.আই সানি,রিপোর্টার
নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল দেশের একমাত্র প্রিন্টিং ও ডিজাইনের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গন।শুক্রবার সকাল থেকেই ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার (৯ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। মিলন মেলা উপলক্ষে ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ ও ইন্সটিটিউট অ্যালমনাই এসোসিয়েশন আয়োজন করেন জব ফেয়ার ও কর্মসংস্থান বিষয়ক আলোচনা। এতে ৫টি প্রতিষ্ঠানে ৩৫ জন শিক্ষার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশী প্রধাণ্য দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ না হলে দেশ এগোবে না। এজন্য কারিগরি শিক্ষার মানউন্নয়ন করার জন্য ঐতিহ্যবাহী সরকারী গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১০তলা ভবন এবং মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র হল করে দেওয়া হবে। আর গ্রাফিক আর্টসে বিএসসি ডিগ্রি করার জন্য ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নীহার রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রাণলয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক , কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব।
যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মো. বকতিয়ার এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ও বিজ্ঞাপন কমিটির আহ্বায়ক হাসান মহিবুর রেজা রুবেলর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোল্লা মো: গোলাম মোস্তফা ও স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মো: সাঈফ শাহরিয়ার জাহেদী। এ ছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদ, আবুল বাসার আজাদ, সোলাইমান আহমেদ, মাহবুবুর রহমাস খান সানা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে বিকালে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ইন্সটিটিউটটি মাত্র ২৫ জন শিক্ষর্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ১৯৬৭ সালে। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০০জন।