বাংলাদেশী ৩২ যাত্রীর মধ্যে জীবিত আছেন আট জন।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার প্লেনটির ৫০ যাত্রীর মৃত্যু হলেও আহত অবস্থায় বেঁচে ফিরেছেন ২১ জন। বাংলাদেশী ৩২ যাত্রীর মধ্যে জীবিত আছেন আট জন। জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বেড থেকে সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা দিয়েছেন দুর্ঘটনা মুহূর্তের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। বলেছেন কীভাবে তারা বেঁচে ফিরলেন। বেঁচে ফেরাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশী শাহরিন হক নেপালের সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমসকে বলেছেন তার অভিজ্ঞতার কথা। ‘আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করছিলাম। বিমানটি অবতরণ করার সময় এটি বামদিকে ঘুরতে শুরু করেছিল। লোকজন চিৎকার করছিল। আমরা পেছনে তাকিয়ে দেখি প্লেনটিতে আগুন ধরে গেছে। আমার বন্ধু আমাকে তার সামনে দৌড়াতে বলে।’ ‘কিন্তু আমরা যখন দৌড়াচ্ছিলাম আগুন তাকে গ্রাস করে ফেলে। সে পড়ে যায়। লোকজন পুড়ছিল, চিৎকার করছিল এবং পড়ে যাচ্ছিল। তিন জন লোক লাফিয়ে পড়ে প্লেন থেকে। আমি ভীত হয়ে পড়ি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে কেউ একজন আমাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসে,’ অশ্রুসজল কণ্ঠে বলেন শাহরিন। পেশায় শিক্ষক শাহরিন (২৯) কাঠমান্ডু এবং পোখারা দেখতে গিয়েছিলেন। তার মতো পর্যটক হিসেবে নেপাল যাচ্ছিলেন আরো কয়েকজন। স্ত্রী, কন্যা এবং এক আত্মীয়কে নিয়ে প্রথমবারের মতো আকাশপথে ভ্রমণ করা বাংলাদেশী মেহেদী হাসান বলেন: আমার সিট ছিলো পেছনের দিকে। আগুন দেখেই আমি আমার পরিবারের লোকজনের খোঁজ করি। আমরা জানালা ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। আমরা খুঁজছিলাম কেউ আমাদের এসে উদ্ধার করুক। ‘আমি এবং আমার স্ত্রী উদ্ধার পেলেও আমার কন্যা এবং আত্মীয়কে হারিয়ে ফেলি।’