নেপালে ট্র্যাজেডিতে বাবা-মেয়ে নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান”শ্রীপুরে নিহতের বাড়ীতে
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে গত ১২মার্চ সোমবার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তাঁর শিশু কন্যা প্রিয়ংময়ী নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশে সমবেদনা জানান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান।
১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের জৈনা বাজার বাড়ীতে হাজির হয়ে পরিবারের একমাত্র সদস্য ফারুক হোসেনের মা ফিরোজা বেগমকে শান্তনা দেন। এসময় মুঠোফোনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফারুকের স্বজনদের সাথে কথা বলেন।
ফারুক হোসেনের মামা তোফাজ্জল হোসেন জানান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামীলীগের পক্ষে এ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জাানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। এসময় এপরিবারটির পাশে সবসময় আওয়ামীলীগ থাকবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়রাম্যান আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার এ পরিবারের পাশে থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এসএম মোকছেদ আলম, সদস্য দিলরুবা ফাইজিয়া, রাশেদা খন্দকার, আবুল খায়ের বিএসসি, আনোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ, তারেক হাসান বাচ্চু প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১২মার্চ সোমবার বিধ্বস্ত বিমানে ছিলেন ফারুক হোসেন ও মেহেদী হাসান দম্পতির পাঁচ সদস্য। এসময় ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তাঁর শিশু কন্যা প্রিয়ংময়ী নিহত হলেও বেঁচে আছেন ফারুক হোসেনের স্ত্রী এ্যানি, মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহান স্বর্ণা। তাঁরা আগামী কাল শুক্রবার চিকিৎসা শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুর সোয়া তিনটায় দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। তবে নিহত ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তার শিশু কন্যার মরদেহ কবে দেশে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।