গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাড়ির মেয়ে হয়ে অতিথি আপ্যায়ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : আতিথেয়তায় খুশি অতিথিরা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আথিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সেখানে যাওয়া সকল অতিথিরা। ছিলেন রাষ্ট্রের ও সরকারের সামরিক-বেসামরিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সেখানে তারা সবাই পেট পুড়ে খেয়েছেন। তবে তার চেয়েও বড় কথা তারা মুগ্ধ হয়েছেন জাতির জনকের কন্যার অতিথি পরায়ণতায়। ১৭ মার্চ ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এ দিনে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে অতিথিদের আপ্যায়ণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
অতিথিদের মধ্যে কয়েকজনই জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা নিজ হাতে তাদের খাবার তুলে যেমন দিয়েছেন, তেমনি সারাক্ষণ তদারকিও করেছেন কে কোনটা নেবেন তার। কে কোন পদটা মিস করলেন, কার জন্য কোন খাবার বেশি পছন্দ তাকে যেনো সেটা দেওয়া হয় এ সব দেখেছেন। কে একটু বেশি খেতে পারবে, কে কম খাচ্ছেন এ সবেও নজর ছিল তার। অতিথিরা বলছিলেন, আবহমান কালের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পরিবারের আতিথেয়তা তারা পেয়েছেন টুঙ্গিপাড়ায়।
১৭ মার্চ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়ায় যান শেখ হাসিনা। সেখানে টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে সকল রাষ্ট্রীয় ও দলীয় আনুষ্ঠানিক কর্ম ব্যস্ততা শেষে আগত অতিথিদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন।
অতিথিরা বলেন, সে সময়টিতে শেখ হাসিনা রীতিমতো হয়ে ওঠেন ওই বাড়িটির মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শুরু করেন অতিথি আপ্যায়ণ। অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হলে তার তদারকি যখন করছিলেন শেখ হাসিনা, অন্যরা তখন বার বার বলছিলেন, তিনি নিজেও যেনো খেয়ে নেন। কিন্তু জাতির জনকের কন্যা তা করেননি। বার বারই বলেছেন, অতিথিরা খাওয়া শেষ করলেই তিনি খাবেন।
কয়েকজন অতিথি জানান, দুপুরের আহারে নানা পদের খাবারের আয়োজন ছিল। তবে তাদের কাছে খাবারের স্বাদের চেয়েও বড় হয়ে দেখা দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কণ্যার আতিথেয়তা। শেখ হাসিনার এমন আপ্যায়ণে মুগ্ধ হয়েছেন অতিথিদের সকলেই।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমিন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এলজিআরডি এবং সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ দিলু, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদষ্টো মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল¬াহ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, আবুল হাসনাত আব্দুল¬াহ, দলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো: শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো: নজীবুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, পুলিশের আইজি ড. মো: জাভেদ পাটোয়ারী, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাসহ সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক র্কমর্কতারাও উপস্থিত ছিলেন।