শার্শার লক্ষণপুরে ইউপি উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শার লক্ষণপুর ইউনিয়নের উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত ৮ টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ নৌকা প্রতীকের সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন শামিম হোসেন (৪৫),মিশন (৩৫), শিপন (৩৫). হাফিজুর (৩২), মনা (৩৪)।
উল্লেখ্য গত ৯ই জানুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন শান্তি নিহত হন। এর পর থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য থাকে।
অতপর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ২৯ই মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে লক্ষণপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করেন।
এ উপনির্বানে চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রাথী নিহত সালাউদ্দিন শান্তির স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও বিদ্রোহী প্রাথী কামাল হোসেন। এছাড়া দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
স্থানীরা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারার পক্ষে একদল লোক নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছিল। এসময়ে এক দল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতকিত তাদের উপর হামলা করে ও বোমা ফাঁটায়। এঘটনায় প্রচারণাকারী দলের পাঁচ থেকে ছয় যুবক গুরুত্বর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতাালে ভর্তি করা হয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার নৌকা প্রতীকের পক্ষে ছাত্রলীগের ছেলেরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিল।এই সময় বিদ্রোহী প্রার্থী কামালের লোকজন আমার ছেলেদের উপর হামলা করে।এতে ৭ জন্য গুরুত্বর আহত হয়।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কামালের কাছে বুধবার রাতে কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বোয়ালী গ্রামে থাকি। গত রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। শুনেছি একদল সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে হামলা করেছে। পরে গ্রাম বাসিরা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার কল্লোল কুমার সরকার জানান,কয়েক জন যুবক রাতে গুরুত্বর জখম অবস্থায় পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা এখনো আশষ্কাজনক। বাকিদের অবস্থা ভাল বলে তিনি জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, রাতে শুনেছি লক্ষণপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ আহত হয়েছে কি না তা এখনও জানি না। তবে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।