নেপালে বিমান বিধ্বস্ত: সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে কবিরকে
নেপালের কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবনে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের আহত যাত্রী কবীর হোসেন সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেইন ইমাম বলেন, শনিবার সকালে ১৭ জন চিকিৎসকের একটি মেডিকেল বোর্ড বসে কবিরকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আহত কবিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় বলে জানান তিনি।
ডা. ইমাম বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কবিরের ডান পা টি কেটে ফেলতে হতে পারে— এই বিষয়ে তার পরিবারের মতামত চাওয়া হলে তারা কবিরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তাকে সিঙ্গাপুর নেয়ার বিষয়ে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক ইমাম।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে কবিরকে যত দ্রুত সম্ভব সিঙ্গাপুর পাঠাবে।
ডা. ইমাম বলেন, কবিরের ডান পাসহ সার্বিক শারীরিক অবস্থা নেপাল থেকেই ভালো ছিল না। এখন অবস্থা ক্রমান্বয়ে ডিটোরয়েটিং। আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাইনি, তাই আগেই লাইফ সাপোর্টে নিয়েছি।”
গত ১৯ মার্চ তাঁকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আনা হয়।
গতকাল জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তার অবস্থা খুবই গুরুতর, লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।’
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত মোসলেম আলী মাতব্বরের ছেলে কবির হোসেন তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উত্তরখানের কুনিপাড়া এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকেন।
প্রসাধনী সামগ্রীর আমদানিকারক কবির ব্যবসার কাজে প্রতি মাসে একাধিকবার দেশের বাইরে যেতেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
গত ১২ মার্চ কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি, ১ জন চীনাসহ ৪৯ জন নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি, ৯ নেপালি, ১ মালদ্বীপের নাগরিকসহ ২০ জন আহত হন।
আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে মেহেদী হাসান, সৈয়দ কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও শাহরিন আহমেদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।