জামালপুরের পর্যটন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়
মিঠু আহমেদ, জামালপুর 4TV : জামালপুরে নারীর টানে ফিরে আসা ঈদের ছুটিতে কাটানো অবসাধ সময়কে ঈদের আনন্দে মুখরিত করতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র লুইজ ভিলেজ এন্ড রির্সোট পার্ক পর্যটক দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসছেন এ জেলায়। যানজট আর কোলাহল মুক্ত থেকে পরিত্রাণ পেতেই দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন বলে জানান।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, বাস যোগে পর্যটকরা জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকার লুইজ ভিলেজ এন্ড রির্সোট পার্কের জড়ো হয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন। এ সময় কথা হয় নরায়নগঞ্জ থেকে আসা মমিনুল, টাঙ্গাইল থেকে আসা হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ থেকে আসা তুফাজ্জল হোসেন, ঢাকা থেকে আসা এজাজ আহমেদসহ অনেকেই তারা দৈনিক খোলা কাগজকে জানান, এবারের ঈদে পুরো পরিবার নিয়ে জামালপুরের লুইজ ভিলেজ এন্ড রির্সোট পার্কে বেড়াতে এসেছি। কারণ সাড়া বছর কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন ঈদে ছুটি পাই তখন পরিবার পরিজনদের নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে ভালই লাগে। গতবার গিয়ে ছিলাম কক্সবাজার আর এবার আসলাম জামালপুরে। তবে পার্কটি সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশ থাকায় অসাধারণ একটি পার্ক বলা যায়।
বন্ধর নগরী চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা নিজাম আনসারী বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড় ও সাগর দেখতে দেখতে আর ভাল লাগছিল না। তাই ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু প্রয়োজন ছিল তাই এখানে আসা। তবে এখানে এসে খুবই ভাল লাগলো। বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে জামালপুরের লুইস ভিলেজ রির্সোট পার্কটি একটি অসাধারণ পার্ক। না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। এমন মনমুগ্ধকর একটি পার্ক জামালপুর জেলা শহরে রয়েছে।
লুইজ ভিলেজ এন্ড রির্সোট পার্কের স্বত্ত্বাধিকারী আতিকুল ইসলাম লুইস বলেন, কম খরচে ঘুরে বেড়াতে ও রাত্রি যাপন করতে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লুইজ ভিলেজ এন্ড রির্সোট পার্ক। এখানে আমরা পর্যটকদের চাহিদা মাফিক সেবা প্রদান করে থাকি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় পর্যটকরা বেশিই আসেন। আমাদের পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইডস। যা শিশুদের মন কাড়বে সহজেই। দেশের বাহিরে ছিলাম দীর্ঘদিন আর তখন থেকেই আমি চিন্তা করি জামালপুরের মানুষের জন্যে একটি বিনোদন পার্ক স্থাপন করবো তারই প্রেক্ষিতে এটি করা হয়েছে।
মিঠু আহমেদ
জামালপুর।