গবাদি পশু উৎপাদনে ভোগান্তিতে গবাদি পশুর ওষুধ উৎপাদনকারীরা
আমিষের চাহিদা পূরণে গবাদি পশু উৎপাদনে বিশেষ নজর দেয়া হলেও, এখাতে দরকারি ওষুধ উৎপাদনে নেই কোন সুষ্ঠু নীতিমালা। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, নীতিমালা না থাকায় ওষুধ তৈরিতে প্রাণীসম্পদ ও ওষুধ প্রশাসন-দুই অধিদপ্তরেরই দৌঁড়াতে হয় তাদের। আবার আমদানি করা কাঁচামাল পরীক্ষা করতে বন্দরেই ব্যয় হয় ১৫-২০ দিন। এতে বেড়ে যায় উৎপাদন খরচ। নজরদারির বাইরেই রয়ে যাচ্ছে নিম্নমানের ওষুধ আমদানিও। তবে, গবাদিপশুর ওষুধ খাতে শৃঙ্খলা আনতে নীতিমালা প্রণয়নের আশ্বাস মৎস্য ও প্রাণী মন্ত্রণালয়ের।প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে বর্তমানে দেশে গরু ও ছাগল'সহ গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। মাংস ও দুধের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক খামার। পাশাপাশি বড় হচ্ছে পোল্ট্রি খাত। লক্ষ্য মতে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩ লাখে।
প্রাণিসম্পদ খাতের সম্প্রসারণের সাথে বাড়ছে ওষুধের চাহিদাও। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশুর ওষুধের বাজারে ৪০টির মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের অবদান মাত্র ৩০ শতাংশ। নীতিমালা না থাকায় ঘাটতি মেটাতে ৫শতাধিক প্রতিষ্ঠান ওষুধ আমদানি করছে, যার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক বলেন, আমাদের আরও ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করতে হবে। সেই সুযোগ তখনই আসবে যখন সরকারের বিভিন্ন মেকানিজম গুলো প্রয়োগ করা হবে।
সম্প্রতি গবাদিপশুর ওষুধের কাঁচামাল আমদানির আড়ালে গুঁড়ো দুধ আমদানির ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে বন্দরেই পরীক্ষা করাতে হচ্ছে সব কাঁচামাল। এতে সময় ও ব্যয় দুটোই বাড়ছে।রেনেটা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বলেন, ২০ থেকে ২৫ দিন বন্দরে পণ্য পড়ে থাকছে। আমাদের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া কিছু কিছু ওষুধ নিয়ে আমরা ঝামেলায় পরি।
এ অবস্থায় দ্রুত প্রাণিসম্পদ খাতে ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি নীতিমালা করার উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীও বলেন, বছরে কে কতটুকু ব্যবসা করবে তার একটা মাত্রা থাকা উচিত। একটা সুষ্ঠু নিতিমালা হলে এটা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আমরা মনে করি।
উদ্যোক্তাদের দাবি ভ্যাকসিন বাদে গবাদিপশুর সব ওষুধ উৎপাদনে সক্ষম দেশীয় প্রতিষ্ঠান। আমদানি নির্ভরতা কমাতে তাই শিল্প স্থাপনে মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা চান উদ্যোক্তারা। তবে সবার আগে প্রয়োজন, সুষ্ঠু নীতিমালা।